পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে জেলা সংগঠনে বিদ্রোহ দেখা গেল। আর তার জেরে বড় ভাঙন দেখা দিয়েছে বিজেপির বর্ধমানে। সংগঠনের সহ–সভাপতির পর এবার𓃲 আরও ১২ জন নেতা পদত্যাগ করতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। সহ–সভ🌃াপতি ছিলেন শ্যামল রায়। এবার শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করা হল বর্ধমানের বিজেপি নেতা শ্যামল রায়কে। বিজেপি রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে বহিষ্কারের দলীয় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে শ্যামল রায়কে। জেলা সভাপতির অদক্ষ ভূমিকার প্রতিবাদে পূর্ব বর্ধমান বিজেপির সদর জেলার কর্মকর্তারা পদত্যাগ করলেন।
গত সোমবার বিজেপির বর্ধমান জেলার সহ–সভাপতি শ্যামল রায় পদত্যাগ করেন। তিনি পূর্ব বর্ধমান সদর জেলার সভাপতি অভিজিৎ তা এবং বর্ধমান–দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আল🃏ুওয়ালিয়ার ভূমিকা নিয়ে সরব হন। বুধবার বিজেপির ৬ জন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। বিদ্রোহীরা জেলা সভাপতির দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। সামনে এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে জেলা সভাপতিকে কেউ মেনে নিতে পারছেন না। এই বিষয়ে সদ্য পদত্যাগ করা বিজেপি নেতা শ্যামল রায় বলেন, ‘জেলা সভাপতি একজন প্রোমোটার। রাস্তায় নেমে কখনও কাজ করেননি। ত🌱িনি সিপিএমের পরিবার থেকে এসেছেন। তাই সিপিএমের কায়দাতেই দল চালাতে চাইছেন। কিন্তু বিজেপির সংগঠন এভাবে চলে না। তাঁর নেতৃত্ব না মেনে অনেকেই পদ থেকে সরে আসতে চাইছেন। আমরা দলে আছি।’
ঠিক কী লেখা হয়েছে চিঠিতে? রাজ্য কার্যালয়ের সম্পাদক প্রণয় রায়ের সই করা শ্যামল রায🐼়কে পাঠানো চিঠিতে লেখা রয🌳়েছে, ‘পত্র ๊দ্বারা আপনাকে অবগত করা হচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সুপারিশ ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশ অনুযায়ী আপনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।’ সদর জেলার মুখপাত্র সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দলের মধ্যে বা কারও বিরুদ্ধে অভিমান বা অভিযোগ থাকতেই পারে। সেটা বাইরে না বলে দলের অভ্যন্ত🦄রে আলোচনা করে সমস্যা মেটানো উচিত।’