বাজি ক্লাস্টার তৈরি নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে জল্পনা চলছিল। বিভিন্ন জায়গায় জমি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই সমস্ত জট কাটিয়ে এবার কোথায় কোথায় বাড়ি ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। সেই কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের ঘোষণা অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, উত্তর ২ꦫ৪ পরগনার বনগাঁ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, হাওড়ার উদয়নারায়নপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে বাজি ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। এর আগে বাজি ক্লাস্টার তৈরির প্রস্তাবে নাম ছিল পূর্ব কলকাতা জলাভূমির ধাপার মাঠ পু💛কুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা। তবে সেখানে বাজি ক্লাস্টার তৈরি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই ওই দুটি জায়গাকে বাদ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: এত জমি💎 কোথায় মিলবে? দাম কে দেবে? বাজি ক্লাস্টারের পরিণতি নিয়ে ধন্দে ব্যবসায়ীরা
এই সমস্ত জায়গাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজি ক্লাস্টার তৈরি হতে চলেছে বারুইপুরে। সেখানে ২১ একর জমির উপরে সেলিং ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। এর জন্য খরচ করা হবে ২ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা। এর নাম সেলি💟ং ক্লাস্টার হলেও সেখানে বাজি তৈরি এবং বিক্রি দুই করা যাবে। এরপরে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজি ক্লাস্টার তৈরি হতে চলেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ। এখানে ১২ একর জমিতে বাজি ক্লাস্টার তৈরি হবে। তার জন্য খরচ ধার্য করা হয়েছে ২ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা। বহরমপুরে ১ একর জমিতে সেলিং ক্লাস্টার তৈরি করার জন্য খরচ হবে ৮৩ লক্ষ টাকা। উদয়নারায়ণপুরে ০.১৮৩ একর জমিতে ৫৩ লক্ষ টাকা খরচ করে বাজি ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। কোলাঘাটে একটি ভবনে বাজি মজুদ ও বিক্রি রাখার জন্য ক্লাস্টার তৈরি করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ১ লক্ষের বেশি মানুষ। কাউকে যাতে কাজ হারাতে না হয় এবং সকলের নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত করা যায় তার জন্য ক্লাস্টার তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবেই লোকালয় থেকে দূরে এই বাজি ক্লাস্টার তৈরি করা হচ্ছে। এদিকে, ক্লাস্টারের জন্য আগে পূর্ব কলকাতার জলাভূমির ধাপার মাঠপুকুরের নাম উঠেছিল। কিন্তু, সেক্ষেত্রে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন পরিবেশকর্মীরা। এমনকী তারা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। তারপরে ধাপার মাঠ পুকুরে বাজি ক্লাস্টার তৈরি সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠতে হয় রাজ্যকে। বাজি ব্যবসায় উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়ও সে কথা স্বীকার করে নি༺য়েছেন। তিনি জানান, পরিবেশ কর্মীদের জন🅺্য ধাপার নাম ঘোষণা করা হয়নি। সে ক্ষেত্রে বিকল্প জায়গা খোঁজা হবে। আবার মহেশতলায় দমকলের ঢোকার জায়গা না থাকার কারণে সেখানে বাজি ক্লাস্টার হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।