স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদন ছাড়াই দিনের পর দিন জলপাইগুড়িতে বেআইনিভাবে চলছিল দিশারী নার্সিং এণ্ড টেকনোলজিক্যাল সেন্টার ইন্সটিটিউট। অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এবার ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ সামনে আসছে। বিশেষ করে নার্সিং শেখানোর পদ্ধতি নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ সামনে এসেছে। পড়ুয়াদের একে অপরের শরীরে ফাঁকা ইনজেকশন সিরিঞ্জ পুশ করিয়ে শেখানো হত নার্সিং। শুধু তাই নয়, সেলাই শেখানোর জন্য পড়ুয়াদেরই হাত কাটা হত তারপর অন্য পড়ুয়া সেই কাটা হাত সেলাই করত। এভাবেই শেখানো হত সেলাই। নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার শান্তনু শর্মার বিরুদ্ধে আগেই কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পদ্মশ্রী করিমুল হক। আর এবার নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও চাকরি না পাওয়ায় জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়া꧋ হয়েছে। তাই অবিলম্বে তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে চলছিল বেআইনি নার্সিং ট্রেনিং, প্রতারিত পদ্মশ্রী প্রাপ꧂ক করিমুল
পড়ুয়াদের দাবি, তিন বছর হয়ে গিয়েছে, সার্টিফিকেট নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরেও তাঁরা চাকরি পাচ্ছেন না। তাঁদের ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রেনিংয়ের জন্য দেওয়া টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার জেলা শাসকের কাছেও স্মারক লিপি দিয়েছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের বক্তব্য, জেলাশাসক কী ব্যবস্থা নেন সেটা দেখার পরেই তাদের পরဣবর্তী পদক্ষেপ হবে। উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি শহরের দিশারী নার্সিং অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল সেন্টার ইন্সটিটিউট কান্♏ড নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে শান্তনু শর্মা ওই সেন্টার কীভাবে চালিয়ে আসছিলেন? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গত কয়েক বছরে ওই সেন্টারে শতাধিক ছেলে মেয়েদের নাসিংয𒉰়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ট্রেনিংয়ের শেষে তাঁদের দেওয়া হয়েছে ভুয়ো সার্টিফিকেট। এই অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসার পরেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করে দেয় জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। আর তার পরেই ওই সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া পড়ুয়াদের অভিযোগ সামনে আসতে থাকে।