পুলিশ দরজা খুলতেই দেখা যায়, বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় পড়ে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর একে একে চারজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর একই পরিবারের মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মায়ের মৃত্যুর শোকে আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি এক বোন। ইসকোর কর্মী জয়ন্ত কর তাঁর বৃদ্ধা মা, ভাই, বোনকে নিয়ে থাকতেন। প্রতিবেশীদের দাবি মায়ের মৃত্যুর শোকে আত্মহত্য💎া করেছেন তাঁরা। তবে বোনটি কোনওরকমে বেঁচে গিয়েছেন।🦋 বার্ণপুরের ঘটনা।
জয়ন্তর এক সহকর্মী বলেন, আমাদের ইসকোর এক কর্মী মারা গিয়েছেন। অসুসಌ্থ মাকে নিয়ে দাদা, ভাই ও বোন থাকত। তারা কেউ বিয়ে করেনি। শুনলাম নাকি সুইসাইড নোটে তারা লিখেছে মা যখন নেই তখন আর আমাদের বেঁচে থেকে লাভ নেই। একথা লিখেই তারা সুইসাইড করেছেন। মনে হচ্ছে খাবারের সঙ্গে কার্বলিক অ্যাসিড খেয়ে তারা মারা গিয়েছেন। প্ল্যান্টেও শুনলাম সোমবার থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। মা অসুস্থ বলে ছুটি নিয়েছিলেন। তারপরেই এই ঘটনা। কাল রাতে বা আজ ভোরবেলা এই ঘটনা হতে পারে। অপর এক বাসিন্দা বলেন, মাকে ওরা খুবই ভালোবাসত। মায়ের সেবা করত ওরা। মা মারা♉ যাওয়ার শোক সামলাতে পারেননি। সেকারণেই সকলে মিলে আত্মহত্যা করেন।
মৃতের এক আত্মীয় বলেন, ✤মা অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। মায়ের শরীর নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলেন ছেলে মেয়েরা। এদিকে এলাকায় বিশেষ কারোর সঙ্গে মিশতেন না তাঁরা। এক মেয়ে কিছুটা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। তবে বড়ছেলে মাঝেমধ্যেই বলত মা বেঁচে না থাকলে আমরা কেউ বাঁচব না। আর সেটাই করল এদিন।