সাঁতরাগাছির পর হাওড়া ময়দানেও ধুন্ধুমার। এদিন বঙ্গবাসী মোড়ে লোহার ব্যারিকেডের উপর উঠে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। জল কামানের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন গেরুয়া শিবিরের কর্মী, সমর্থকরা। এদিকে হাওড়া ময়দানের মিছিলের বেশ কয়েকজন জখম হন। এদিন মিছিল ঘিরে অশান্তি শুরু হতেই সুকান্ত মজুমদার হেলমেট পরে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে যান। বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগ করেন, জল কামানের জন্য বিদ্যুতের তারে শর্ট সার্কিট হয়। সুকান্তবাবু আরও অভিযোগ করেন, বোমা মারা হচ্ছে পুলিশের তরফে। বঙ্গবাসী মোড়েই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে বসেই ‘পিসি চোর, সবাই চোর’ স্লোগান তোলেন সুকান্ত। (নবান্ন অভিযানের যাবতীয় আপডেট পেতে ক্লিক করুন এখানে)
এদিন পুলিশ বঙ্গবাসী মোড়ে টানা জল কামান চালাতে থা💛কলে বিজেপি কর্মীরা পালটা ইট বৃষ্টি শুরু করে বিজেপি কর্মীরা। এরপরই হাওড়া ব্রিজের মুখে বিজেপি কর্মীদের ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে পুলিশ। এদিকে হাওড়া ব্রিজের সামনেও এদিন অশান্তি বাঁধে। কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মীনা দেবী পুরোহিত অভিযোগ করেন তাঁর মাথায় পুলিশ লাঠি দিয়ে মারে।
এর আগে আজ রণক্ষেত্রে পরিণত হয় সাঁতরাগাছি। আজ সাঁতরাগাছির এই মিছিলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল শুভেন্🍌দু অধিকারীর। তবে মিছিলের সূচনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই শুভেন্দুকে আজ পিটিএস-এ আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শুভেন্দুকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ায় সাঁতরাগাছি থেকে শুরু হওয়া বিজেপির মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। মিছিলে পা মেলান প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা বিজেপি বিধায়ক অশোক ডিন্ডা।
সেখানে বিজেপি ক🅘র্মী সমর্থকরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে। নবান্ন থেকে আড়াই কিমি দূরে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে যে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে, তা ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মীরা। ইট ছোঁড়া হয়। জল কামান চালায় পুলিশ। 'বজ্র' থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে পুলিশ। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ব্যারিকেড টপকে এসে লাঠি চার্জ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ☂্টা করে বিশাল পুলিশ বাহিনী।