বিজ্ঞান গবেষণায় নজিরবিহীন অবদানের জন্য এবার ৩০ তম জিডি বিড়লা পুরস্কার পেতে চলেছেন আইআইটি খড়গপুরের বিজ্ঞান গবেষক সুমন চক্রবর্তী। আইআইটি খড়গপুরের এই অধ্যাপককে গবেষণার উৎকর্ষতার জন্য এবারের পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় মনোনিত করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার কেকে বিড়লা ফাউন্ডেশনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় উন্নতমানের প্রযুক্তিগত বিজ্ঞান ও তার প্রয়োগে অধ্যাপকের অবদানের কারণেই তাঁকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনিত করা হয়েছে।৫০ বছর বয়সসীমার নীচে যেসব ভারতীয় বিজ্ঞানীরা রয়েছেন, তাঁদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যে কোনও শাখায় অবদানের ক্ষেত্রে ১৯৯১ সালে পুরস্কার কমিটি গঠন করেছিল এই সংস্থা।পুরস্কার প্রাপকদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারমূল্য রয়েছে। তাছাড়া পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা তৈরি করে এই পরিষদ। যার মাথায় রয়েছেন আইএনএসএ—র অধ্যাপক চন্দ্রিমা সাহা। সুমনবাবু আইআইটি খড়গপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।১৯৯৬ সালে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন। ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স থেকে তিনি তাঁর স্নাতকোত্তর পিএইচডি করেন। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অতিথি অধ্যাপক হিসেবেও গবেষণার কাজও করেছেন।এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ থেকে তিনি জেসি বোস ন্যাশনাল ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ডও জিতেছিলেন।সুমনবাবু এমন কিছু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যন্ত্রের আবিষ্কার করেছেন যা যথেষ্ট স্বল্প মূল্যের। এখনও পর্যন্ত সেগুলার পেটেন্ট না—পেলেও শিল্পের ক্ষেত্রে নথিভুক্তিকরণ হয়ে গিয়েছে।তিনি বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল সরঞ্জামের আবিষ্কার করেছেন তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল, রক্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ডিস্ক, ক্যানসার সেল খোঁজার জন্য চিপযুক্ত ডিভাইস, এছাড়াও কোভিড ১৯ দ্রুত পরীক্ষার জন্য ‘কোভির্যাপ’।