বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপির বিদায়ী সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ আলুওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে কোনও ধরনের কাজ না করার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে রিপোর্ট কার্ড পেশ করে নিজের কাজের খতিয়ান তুলে ধরলেন সাংসদ তথা আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী। তাঁর আরও অভিযোগ, প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছে তৃণমূল। অনেক কাজে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবে তৃণমূলের দাবি, তিনি নিজের ইচ্ছামতো কাজ করেছেন। মানুষের দ꧋াবিদাওয়াকে কোনও গুরুত্ব দেননি।
আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান নিয়ে মতভেদ বিজেপির অন্দরে, সমর্থন কর𒊎লেন না দলেরই সাংসদ
সুরেন্দ্র দাবি করেছেন, তিনি সাড়ে ১৭ কোটি টাকা গত ৫ বছরে তহবিল হিসেবে পেয়েছিলেন। সেই টাকাতে তিনি এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। আগের দুই লোকসভার প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ সাইদুল হক ও তৃণমূলের মমতাজা সঙ্ঘমিতার প্রায় ৪ কোটি ২২ লক্ষ টাকা কাজ পড়েছিল। সেই কাজও তিনি করেছেন। সুরেন্দ্র জানান, ওই দু🔯ই প্রাক্তন সাংসদের টাকা পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তরফে গত ১৫ মার্চ পাঠানো হয়েছিল। টাকা পাওয়ার সঙ্গেসঙ্গে তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরামণ্ডলের উন্নয়নে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। বাকি টাকা অন্যান্য কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়।
তিনি দাবি করেছেন, ১২০ দুঃস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী তহবিল থেকে প্রায় ২ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় তাঁর কেন্দ্রে। ৫৭ জন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তকে নিয়মিত ওষুধ সরবরাহ করা হয়ে থাকে সেই টাকা থেকে। এছাড়াও দুর্গাপুরে ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ কেন্দ্র স্থাপন, ডিএসপির আধুনিকীকরণ, এএসপির বিলগ্নিকরণ আটকানো, ডিটিপিএসে নতুন ইউনিট, পানাগড় ও মায়াবাজারে রেল ওভারব্রিজ নির্মাণের অনুমোদনে তাঁর ভূমিকা রয়ꦫেছে। সুরেন্দ্র দাবি করেন, বিরোধীরা মܫিথ্যা কথা বলছেন। তিনি এলাকায় কাজ করেছেন।