ফের বন্ধ হল জল। শিলিগুড়িতে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় শুক্রবার থেকে বন্ধ করা হল পানীয় জল। কার্যত শুক্রবার সকাল থেকেই মাথায় হাত স্থানীয়দের। তবে পুরসভা এনিয়ে নানা আশ্বাস দিয়েছে। সেই সঙ্গেই পুরসভার তরফে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন জলাধার প্রকল্প বা ইনটেক ওয়েল করা হয়েছে। শহরের পানীয় জলের সুব্যবস্থার জন্য়ই এটা করা হয়েছে। নতুন ইনটেক ওয়েলের সঙ্গে পুরনো ব্যবস্থার সংযুক্তিকরণের প্রয়োজন রয়েছে। সেকারণেই দুদিন ধরে কাজ করা হবে। আর সেই কাজ করার জন্য এই পানীয় জলের সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। তবে ইতিমধ্য়েই পুরসভার মেয়র গৌতম দেবের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যাতে শহরবাসীর কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। তার জন্য সবরকমভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়িতে জলের সমস্যা নতুন কিছু নয়। তবে শহরে পানীয় জলের সুব্যবস্থার জন্য নানা কর্মসূচি নানা সময়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সর্বত্র এই সিস্টেমের কার্যকারিতা দেখা যায়নি। সূত্রের খবর, আগাম ঘোষণা অনুসারে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত জল সরবরাহ করা হয়েছিল। তারপর জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২২ তারিখ সারাদিন জল বন্ধ থাকবে। ২৩শে নভেম্বরও পানীয় জল বন্ধ থাকবে বলে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ২০২৪ সালের মে মাসে গজলডোবায় বাঁধ মেরামতের জন্য় তিস্তা ব্যারাজের লক গেট খুলে দেওয়া হয়েছিল। এর জেরে তিস্তা মহানন্দা খাল একেবারে শুকিয়ে গিয়েছিল। এরপরই শহর জুড়ে শুরু হয় ভয়াবহ জলসঙ্কট। এরপর মাঠে নামে পুরসভা। জলের পাউচ বিলি করে সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করা হয়। সেই সঙ্গেই জলের ট্যাঙ্কও বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হয়। এদিকে ফের শীতের শুরুতে শুরু হয়ে গেল পানীয় জলের সংকট। এতদিন ধরে একটি মাত্র ইনটেক ওয়েল ছিল শিলিগুড়ি। এবার দ্বিতীয় ইনটেক ওয়েল করা হল। এই দ্বিতীয় ইনটেক ওয়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হচ্ছে পানীয় জলের সিস্টেমকে। আগে ফুলবাড়ি থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হত। এখন দ্বিতীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সম্প্রতি দার্জিলিং থেকে এই দ্বিতীয় সিস্টেমের উদ্বোধন করেছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। এদিকে শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ডে জলের সাময়িক সমস্যা মেটাতে জলের পাউচ বিলি শুরু হয়ে গেল। ২৫টি ট্যাঙ্কারের মাধ্য়মে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে বাসিন্দাদের একাংশের মতে, পুরসভার তরফে যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়।