ইমাম, মোয়াজ্জেম এবং পুরোহিতদের ভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর🌠 সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিজেপি এবং সিপিএম একযোগে এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তাঁর কটাক্ষ, মুসলিমদের তোষণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন:‘সংখ্যালঘুদের ভাগাভাগি করতে বিজেপি টাকা দিচ🍌্ছে’, ইমাম–মোয়াজ্জেম ভাতা বাড়িয়ে তোপ মমতার
বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা দিতে সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়িতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি ইমাম, পুরোহিতদের ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপ🔯াধ্যায়কে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পুরোহিতদের ৫০০ টাকার দরকার নেই। লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়েই ভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। চাকরি দিতে পারেনি, শিল্প আনতে পারেনি, আমাদের ধর্ম বিপদে আছে। এইসব করে মুসলিমদের তোষণ করা হচ্ছে। ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করছেন ম🧸মতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ প্রসঙ্গত, সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠান থেকে ইমাম, মোয়াজ্জেম এবং পুরোহিতদের ভাতা ৫০০ টাকা করে বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে তারা লোনের সুবিধা পাবেন বলেও ঘোষণা করেছেন। ইমামরা এতদিন মাসে ২৫০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। ভাতার বাড়লে এবার থেকে তাঁরা মাসে ৩০০০ টাকা করে পাবেন। মোয়াজ্জেমরা দেড় হাজার টাকা করে মাসে ভাতা পেতেন। এবার থেকে তা বেড়ে হবে ২০০০ টাকা। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের জন্য ভাতা চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী বলেন, ‘সামনে ভোট আসছে তাই চালাকি করে ভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন মানুষের তা বুঝতে আর কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।’ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীও এ নিয়ে মমতা বন্দ🍷্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন।
অন্যদিকে, এর আগের দিন সংখ্যালঘু স্কলারশিপ কেলেঙ্কার♓ি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। 📖সে ক্ষেত্রে তাঁর অভিযোগ, সংখ্যালঘু স্কলারশিপ কেলেঙ্কারি হল বাংলা সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। অভিযোগ উঠেছে, স্কলারশিপের ক্ষেত্রে অনেক ভুয়ো আবেদন জমা পড়েছে। যার ভিত্তিতে প্রায় ১৪৪ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। যদিও শুভেন্দুর অভিযোগ, সেক্ষেত্রে দুর্নীতির অঙ্ক আরও অনেক বেশি।