আজ, সোমবার ইমাম–মোয়াজ্জেমদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম–মোয়াজ্জেমদের সম্মেলন ছিল। সেখানে তাঁদের মাসিক ভাতা ৫০০ টাকা করে বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এতদিন ইমামরা মাসে ২,৫০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। সেটা বেড়ে হল তিন হাজার টাকা। আর মোয়াজ্জেমরা ভাতা পেতেন মাসে এক হাজার টাকা করে। সেটা বেড়ে এবার থেকে দেড় হাজার টাকা পাবেন। সুতরাং এখানেও বা💟ড়ানো হল ৫০০ টাকা।
এদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে শান্ত বাংলাকে আবার অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম–মোয়াজ্জেমদের সভা থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ꧑মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এক্ষেত্🦹রে বিজেপি–সিপিএম এবং কংগ্রেস হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে নাম না করে আক্রমণ শানিয়েছেন আইএসএফ বিধাযক নওশাদ সিদ্দিকী–সহ আইএসএফের দিকেও। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আইএসএফ এবং তাঁর বিধায়কের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। আইএসএফ সন্ত্রাস করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। আর নওশাদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার মামলা চলছে।
অন্যদিকে এই রাজ্যে প্রায় ৩০ হাজার ইমাম এবং ২০ হাজার মোয়াজ্জেম সরকারের থেকে এই আর্থিক সুবিধ♎া পেয়ে থাকেন। সেটা রাজ্য সরকার ভাতা হলেও তা বণ্টন করে ওয়াকফ বোর্ড। আজ সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন যে, ‘পুরোহিতদেরও মাসিক ভাতা ৫০০ টাকা করে বাড়ানো হবে।’ সুতরাং বিজেপি আর বিভেদ করতে পারবে না। সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুলতে পারবে না। কারণ সবাইকে সমান ভাতা বাড়ানো হচ্ছে। তাই মমতার কথায়, ‘আমার কাছে খবর আছে, বিজেপির কিছু নেতা সংখ্যালঘুদের ভাগাভাগি করার জন্য ক্যাশমানিও তুলে দিচ্ছে। ইমাম–মোয়াজ্জেমদের বলব, যে দুশমনরা বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে আপনাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করবে. তাদের থেকে দূরে থাকুন। বাংলায় দাঙ্গা লাগাতে দেবেন না। বাংলায় শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: ম𝓀া–মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হল হাওড়ায়, মৃত্যুর নেপথ্যে কারণ কী? তদন্তে পুলিশ
আর কী বলেছেন নেত্রী? এদিন বিজেপি সঙ্গে কংগ্রেস–সিপিএম হাত মেলানো নিয়ে তুলোধনা করেছে🔯ন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিপিএমের লোকেদের লজ্জা নেই। তাই সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি জগাই মাধাই গদাই একসঙ্গে বোর্ড গঠন করছে। মিথ্যে প্রচার করে দাঙ্গা লাগানোর জন্য তার সঙ্গে জুটেছে আর একটা। গেরুয়াধারীদের টার্গেট, সংখ্যালঘুদের টেররিস্ট বানাতে চায়। এনআইএ দিয়ে দেবে বলছে। বাংলায় আমি সেটা বরদাস্ত করব না বলেই আমার নামে কুৎসা রটাচ্ছে। রমজান মাসে আমার ছবি নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ করেছে। বিজেপির লোকেরা তো আমার নামটাই পাল্টে দিয়েছিল। কই আমি যখন আদিবাসীদের সঙ্গে ডান্স করি তখন তো কেউ কিছু বলেন না। যত রাগ সংখ্যালঘুদের দেখলে। সংখ্যালঘু দেখলেই ওদের রাগ হয়। যখন বিনা পয়সায় চালটা যায় তখন কি হিন্দু–মুসুলমান দেখে যায়। আমি তো ভেদাভেদি করি না। এই൩ ভেদাভেদি বিজেপির মধ্যে রয়েছে। বিলকিসের অত্যাচারীদেরও ছেড়ে দিয়েছে।’