ব💮রাবরই বিরোধীরা বলে এসেছে যে কেন্দ্র সরকারে থাকা বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলে। নারদা, সারদাসহ অন্যান্য বিভিন্ন চিটফান্ড কাণ্ডে বছরের পর বছর তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো। তবে নির্বাচনের আগেই নাকি তত্পর হতে দেখা যায় তাদের। তাছাড়া তদন্তের গতি শ্লথ। আর যখন যাঁকে ভয় পাওয়াতে হয়, সেই সময় সেই নেতাকে নাকি সিবিআই দিয়ে হেনস্থা করানো হয়। কতকটা বিরোধীদের এই সব দাবিকে সত্যি প্রমাণ করেই তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তোপ দাগতে শোনা গেল বিজেপি নেতা তথা রাজ্যে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
শান্তিপুর উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ার করে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'পার্থবাবু যতꦑ কম মুখ খুলবেন তত ভালো। না হলে আবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকাডাকি করতে পারে।' উল্লেখ্য, এর আগে শান্তিপুরে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে গিয়ে পার্থ বলেছিলেন, 'শুভেন্দু অধিকারী যতবারই প্রচারে শান্তিপুরে আসুন, কোনও পরিবর্তন হবে না। সাধারণ মানুষ তৃণমূলের পাশে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।' এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই পালটা জবাব দিতে গিয়ে পার্থকে সিবিআই জুজু দেখালেন শুভেন্দু।
এদিকে রবিবার প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তোপ দাগেন শুভেন্দু। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, 'আমি মন্ত্রী ছিলাম। তাই জানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে মাত্র দু’টি দফতর কাজ করে। একটি কাটমানি দফতর এবং আর একটি ভাতা বিতরণ দফতর।' বাংলাদেশের ঘটনায় মমতার নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতি করারও অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী෴।