রাজনৈতিক দিক দিয়ে হাইভোল্টেজ জেলা হল পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলায় পঞ্চায়েতের নিচু স্তরে তৃণমূল ভালো ফল করতে না পারলেও পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে রয়েছে ঘাসফুলের দাপট। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫ টি পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে। তার মধ্যে ২১ টি পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, ৪টি পঞ্চায়ে♔ত সমিতিতে বিজেপি বোর্ড গঠন করতে পেরেছে। তবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জেলা পরিষদে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কটাক্ষ, জেলা পরিষদ সহ পঞ্চায়েতের কার্যালয়গুলিকে দলীয় কার্যালয় পরিণত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: বিরাট অশান্তি, CAPF মোতায়েন করুন বাঁশ🉐বেড়িয়ায়𒅌, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েতের কার্যালয়গুলিকে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিসে পরিণত করেছে। সেখানে কাটমানি দুর্নীতির রাজ চালা🧸চ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে যাতে আমরা বিরত করতে পারি সেই পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি।’ পালটা এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাধিপতি উত্তম বারিক। তিনি জানান, ‘কাঁথি পুরসভাকে দলীয় কার্যালয়ে পরি๊ণত করেছিল বিজেপি। সেই কারণে তারা ভাবছে অন্যান্য সরকারি কার্যালয়গুলি দলীয় কার্যালয় হয়ে গিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, রামনগর-১, রামনগর-২, কাঁথি-৩, খেজু♎রি-১, ভগবানপুর-১, ভগবানপুর-২, চণ্ডীপুর, নন্দকুমার, তমলুক, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট প্রভৃতি পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম-১ এবং নন্দীগ্রাম-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি বোর্ড গঠন করেছে। এই দুটি পঞ্চায়েত সমিতিতে টসে ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে বিজেপির। বুধবার বোর্ড গঠনের পরে দুর্নীতিমুক্তভাবে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি জানান, বিজেপির নেতৃত্বে পঞ্চায়েত সমিতি উন্নয়নমূলক কাজ করবে। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে। এদিন ২১ টি পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠনের পরে রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা অখিল গিরি জানান, ২১টি পঞ্চায়েত সমিতিতে সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে স💮মর্থন করেছে। তবে যে পঞ্চায়েত সমিতি তাদের হাতছাড়া হয়েছে সেই আসনগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।