আবার মুশকিল আসান হয়ে দেখা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তনুশ্রী সিনহা নামে এক যুবতীর হার্টে🌳র সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এই খবর অভিষেক পান তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি করার সময়। তনুশ্রী হার্টের অসুখে ভুগছিলেন। ২০১৫ সালে তাঁর হৃদযন্ত্রের অসুস্থতা ধরা পড়ে। আসলে হার্টের ভালবে একটি ছিদ্র রয়েছে। এটাকে ঠিক করতে গেলে বহু টাকার প্রয়োজন বলে জানতে পারেন তনুশ্রী এবং তাঁর পরিবার। এত টাকা কোথা থেকে পাবেন? এই ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তাহলে কি চিকিৎসা হবে না?🌜 এই প্রশ্নও উঠতে থাকে পরিবারের মনে। এবার ঘটে গেল মিরাকেল।
এদিকে মাঝে কোভিড পরিস্থিতিতে চিকিৎসা থমকে যায়। তবে ইদানিং তনুশ্রীর হার্টের অসু🀅খ বাড়তে থাকে। পরিবারের সদস্যরা ভাবতে শুরু করেন মেয়েটি আর বাঁচবে না। পরীক্ষা করে দেখা যায় তাঁর ভালবে দু’টি ছিদ্𝔍র রয়েছে। চিকিৎসকরা অপারেশনের বাজেট দেন, সাড়ে চার লক্ষ টাকা। এই টাকা তনুশ্রীর পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব ছিল না। তাহলে কি মেয়েটি মরেই যাবে? এমন প্রশ্ন মনে আসায় চিন্তায় পড়েন তনুশ্রীর পরিবার।
অন্যদিকে যখন গোটা পরিবার 𒆙প্রায় হাল ছেড়ে দিয়ে মৃত্যুর দিকে তাকিয়ে আছেন তখন ঘটল মিরাকেল। এই গ্রামে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তাঁর কানে যায়, তনুশ্রীর যন্ত্রণার কথা। কালবিলম্ব না করে অভিষেক তৎক্ষণাৎ প্রতিনিধি পাঠিয়ে দ্রুত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি ⛎করে তনুশ্রীর বাড়িতে পাঠান। দলীয় কর্মীদের মাধ্যমে স্বাস্থ্যভবনে যোগাযোগ করে সাড়ে চার লাখ টাকা অনুমোদন করিয়ে নেন। তারপর চলে চিকিৎসা। সুস্থ হয়ে ওঠেন যুবতী তনুশ্রী। স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ಌতিনি। আর তাই তনুশ্রীর দিদি সোনালি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘হার্টের ভালবে অপারেশনের পর নবজীবন পেল তনুশ্রী। অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচির জন্যই সবটা সম্ভব হল।’
এছাড়া এমন ঘটনা তিনি আগেও ঘটিয়েছেন। নিজের লোকসভা কেন্দ্রে শিশুর জীবন বাঁচানো থেকে শুরু করে পড়াশোনায় সাহায্য করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার তেভাগা আন্দোলনের শহিদ পরিবারের সদস্যের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। মানুষের নানা সমস্যা পথ চলার মধ্যেই সমাধান করেছেন। আবার রাস্তাতেই তেলেভাজার দোকানে চপ, ডেভিল, চা নিয়ে আড্ডা দিয়েছেন। পুরুলিয়া সফরের দ্বিতীয় দিন বান্দোয়ান যাওয়ার পথে তাঁকে ঘিরে ভিড় জমে যায়। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনি গ্রামের ইরা পাল বার্ধক্যভাতা না পাওয়ায় অভღিযোগ জানিয়েছিলেন। তারপরই তার ব্যবস্থা করা হয়।