ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে মালদহের গঙ্গা ভাঙন। তার জেরে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ল কালিয়াচকের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে নদীতে তলিয়ে গেল আস্ত দোতলা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের ভীমা গ্রামে। ঘটনার সময় বিপুল জলোচ্ছ্বাসে দেখা দেয় গঙ্গাবক্ষে। ফুলে ফেঁপে উঠেছে জলস্তর। ঢেউ এসে আছড়ে পড়তে থাকে পাড়ে। সেই সময় ভাঙনের কবলে পড়ে ভিমা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। সবার চোখের সামনে আস্ত দোতলা বাড়ি গঙ্গা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে 𝔉পড়েন গ্রামবাসীরা।
ইতিমধ্যে ওই এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে শুরু করেছেন অনেকেই। একইসঙ্গে মানিকচকে গঙꦛ্গার জল বাড়ায় ৫-৬টা গ্রাম নতুন করে প্লাবিত 𓂃হয়েছে। ভূতনির চর এলাকার কোশীঘাটেও গঙ্গায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, সম্প্রতি কালিয়াচক ৩ ব্লকের বীরনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙন কবলিত এলাকায় লঞ্চে পরিদর্শন করে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ꦕমালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনের পরই কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেন ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর আঝাজিসান। ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের তরফ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে, বর্ষার মরশুমে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করা হবে।
দুর্গতদের অভিযোগ, ফরাক্কা ব্যারেজ ক🐲র্তৃপক্ষের জেনারেল ম্যানেজার তাঁদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। সূত্রের খবর, বীরনগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গা নদীর ভাঙন রোধে আপাতত অস্থায়ীভাবে কাজ করবে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।༺ ডিসেম্বরের দিকে স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।