জেলায় জেলায় আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। অভিযোগ উঠছে প্রকৃত উপভোক্তারা আবাসের টাকা পাচ্ছেন না। আবার পাকা বাড়ি ও প্র🤪চুর সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও আবাসের টাকা পাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। এনিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় গোটা রাজ্য। সেই আবহে আবাসের তালিকা থে👍কে বাদ গেল একটি গোটা গ্রাম। যা নিয়ে এই মুহূর্তে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ওই গ্রামটির নাম হল তিলডাঙ্গা গ্রাম। এটি রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: সঠিক তথ্যের অভাবে আবাসে ৫১ হাজার বাড়ির অনুমোদন দিতে পারছে না রাজ্♎য
কেন বাদ গেল গ্রামটি?
জানা যাচ্ছে, আবাস💙ের তালিকা থেকে এই গ্রামের নাম বাদ যাওয়ার কারণ হল ইন্টারনেট সমস্যা। আসলে ২০১৮ সালে যখন সমীক্ষা হয়েছিল সেই সময় ইন্টারনেটের সমস্যা থাকায় জিয়ো ট্যাগিং করা যায়নি। সেই কারণে এই গ্রামটির নাম আবাসের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়। সেই বিষয়টি জানতে পারার পরেই গ্রামবাসীরা বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু, তারপরে সমস্যা সমাধান হয়নি। প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার তাদের আশ্বাস দেওয়া দেওয়া হয়েছে। এখনও আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, তিলডাঙ্গা হল মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম। সব মিলিয়ে গ্রামটিতে ৮০ থেকে ৯০ টি আদিবাসী পরিবার রয়েছে। ২০১৮ সালের 𒐪সমীক্ষায় গ্রামের নাম বাদ যাওয়ার পর গ্রামবাসীরা মিলে ২০২২ সালের বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। ইদানিং গ্রামবাসীরা ফের স্মারকলিপি দিয়েছেন।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এর আগে বিডিওকে স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি তারা দুয়ারে শিবির কর্মসূচি, এমনকী ‘দিদিকে বলো’ তেও সে কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও কাজ🅠 হয়নি। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, জিয়ো ট্যাগিং করতে না পারাটা সরকারের সমস্যা, এটা তাদের গাফিলতি। এর জন্য পুরো গ্রাম বঞ্চিত হওয়ার কোনও মানে হয় না।
এবিষয়ে রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও অঙ্কুর মিত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, গ্রামবাসীদের কাছ থেকে স্মারকলিপি পেয়েছেন। ২০১৮ সালের তালিকা ধরে ধরে কাজ হচ্ছে। যারা যোগ্য অথচ তালিকায় নাম নেই তা খতিয়ে দেখা হ🌌চ্ছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শাসক দলকে ত💯ীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি স্থানীয় এক বিজেপি নেতা জানান, এখানে কোওন দুর্নীতি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কেন গোটা গ্রামের নাম বাদ গেল তার তদন্ত প্রয়োজন। তবে স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, জেলাশাসক নিজেই এবিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। পরে জেলাশাসক বিধান রায় এবিষয়ে জানান, ২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। নতুন করে সমীক্ষা হবে। সেখানে তালিকায় নাম না থাকা যোগ্য উপভোক্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’