স্বাস্থ্য দফতরে অস্থায়ী পদের ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী। মেদিনীপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর কাছে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ওই নিয়োগপত্র দেখাতে গেলে সন্দেহ হয় কর্তৃপক্ষের। ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে ওই মহিলা স্বাস্থ্য দফতরে কাজে যোগ দিতে এসেছিল🦋েন বলে জানিয়েছেন সিএমওএইচ সৌম্য শংকর ষড়ঙ্গী। মেদিনীপুর শহরের এক বাসিন্দা কৌশিক ঘোষ নামে এক ব্যক্তি ওই নিয়োগপত্র ওই মহিলাকে দিয়েছিল এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে বলে জানতে পারে স্বাস্থ্য দফতর। পুরো বিষয়টি কোতোয়ালি থানায় জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক।
আরও পড়ুন - প্রথমবার মন্ত্রিত্ব পেয়েই দুই মন্ত্রকের MoS স🍨ুকান্ত! শান্তনু পেলেন ꦛকোন দায়িত্ব?
পড়তে থাকুন - ‘হারের মূল ♉কারণ হল…’ বঙ্গ বিজেপির 'ঘুঘু'দের নিয়ে বিস্ফোরক অনুপম
সোমবার সকালে মেদিনীপুরের আনন্দপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা নিয়োগপত্র নিয়ে কেশপুরের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজে যোগদান করতে যান। গোটা বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীদের। তৎক্ষণাৎ ওই মহিলাকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন কেশপুরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিকরা। সেই মতো ওই মহিলা জেলা♐র মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে গেলে প্রকাশ্যে আসে পুরো বিষয়টি।
জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের ভুয়া নিয়োগপত্র নিয়ে এর আগেও চ🔯াকরিতে যোগ দিতে আসেন কয়েকজন। সেক্ষেত্রেও মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এবার একইভাবে ভুয়ো নিয়োগপত্র প্রকাশ্যে আসায় পুলিশের দারস্থ হচ্ছেন জেলার মুখ্য-স্বাস্থ্য আধিকারিক। এই ঘটনায় বড় কোনো চক্রের যোগ থ🌺াকতে পারে বলেও মনে করছেন সিএমওএইচ। প্রাথমিকভাবে যে মহিলার কাজে যোগ দিতে এসেছিলেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরে।
আরও পড়ুন - চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা, বাকিগুলোতে হল ন🏅া কেন? কমিশনে চিঠি তৃণমূ🎐লের
রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই খোলা বাজারে চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদে💝র বিরুদ্ধে। চাকরি দুর্নীতিতে জড়িত অভিযোগে জেল বন্দি রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চাকরি বিক্রি চক্রের পাশাপাশি ফুলে ফেঁপে উঠেছে প্রতারণাচক্রও। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে রাজ্য জুড়ে টাকা নিয়েছেন বহু প্রতারক। অনেকে টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নিয়োগপত্রও দিয়েছেন। এমনকী সেই ভুয়ো নিয়োগপত্র দেখিয়ে কাজে যোগদানও করে ফেলেছিলেন কয়েকজন।