প্রথম দফায় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর পরে কবে ভ্যাকসিন আসবে তার দিনক্ষণ এখনই ঠিক হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত পরিকাঠামোতে কাটছাট করতে হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে। ঠিক ছিস, রাজ্যে করোনার টিকা দেওয়া হবে ৩৫৩ কেন্দ্র থেকে। কিন্তু তা কমে করা হয়েছে ২০৪। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন দেওয়ার দিন কমিয়ে ৪ দিন করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কেন্দ্র কম ভ্যাকসিন রাজ্যকে পাঠানোয় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হয়েছে সেরাম ইন্সটিটিউটের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫০০টি ডোজ। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে কলকাতায়। সেই সংখ্যা ৯৩ হাজার ৫০০। ৪৭ হাজার কোভিড ভ্যাকসিন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা আর ৩৭ হাজার ৫০০ ভ্যাকসিন পেয়ে রাজ্যে এর নিরিখে তৃতীয় স্থান পেয়েছে মুর্শিদাবাদ। ১৬ জানুয়ারি করোনার টিকাকরণ শুরু হচ্ছে সারা দেশে। তার আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। ইতিমধ্যে ২ বার হয়ে গিয়েছে টিকাকরণের মহড়া।প্রথম দফায় টিকা পাবেন কোভিডযোদ্ধারা। এ ব্যাপারে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানিয়েছেন, বাংলায় ৫.৮ লক্ষ সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। পুলিশকর্মী রয়েছে আড়াই লক্ষ এবং পুরকর্মীর সংখ্যা ১.২৫ লাখ। এঁদের প্রত্যেকের নাম ভ্যাকসিনের জন্য নথিভুক্ত করা রয়েছে। সেই মতো প্রস্তুতিও নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে টিকাকরণের জন্য প্রস্তুত ছিল ৩৫৩টি কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্যে আসা ভ্যাকসিনে যেহেতু নথিভুক্ত সকলকে এখনই ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব নয় তাই কমানো হয়েছে টিকাকরণ কেন্দ্রের সংখ্যা। এবং একইসঙ্গে সপ্তাহে ৪ দিন টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।