পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটে দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। আর এই ধরণের নেতাদের আর দলে ফ𒊎েরত নেবে না তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের নির্দল প্রার্থীকে দলে ফেরত নিল তৃণমূলের হুগলি জেলা নেতৃত্ব। রবিবার তৃণমূলে ফিরলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল নেতা পিনাকী ধামালি। পিনাকীবাবুর প্রত্যাবর্তনকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা।
গত পুর ভোটে উত্তরপাড়ার সাতবারের কাউন্সিলর তথা চেয়ারম্যান পিনাকীবাবুকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। তা নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হয়েছে। এর পর নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়েন তিনি। তৃণমূল তাঁকে বহিষ্কাღরও করে। কিন্তু ভোটে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। তার পর থেকে রাজনীতিতে কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন পিনাকীবাবু। রবিবার স্থানীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে ফেরেন তিনি।
এ নিয়ে কল্যাণবাবু বলেন, ‘পিনাকী আমাদের পুর♏নো লোক। অনেক দিন থেকে ফেরার জন্য অনুꦬরোধ করছিল। আমি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এই ন🐈িয়ে তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা প্রণয় রায় বলেন, ‘এই তো তৃণমূলের অবস্থা। ভোটের সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন নির্দল দাঁড়ালে ফেরানো হবে না। তাকেই সুড়সুড় করে ফিরিয়ে নিল দল। নীতি আদর্শহীন দলেই এটা সম্ভব। তৃণমূলের পঁচা মালগুলোকে কেউ নেবে না। ওদের তৃণমূলেই পঁচে মরতে হবে।’
ওদিকে উত্তরপাড়া পুরসভার চে🌟য়ারম্যান দিলীপ যাদবের বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত পিনাকী ধামালি তৃণমূলে ফেরায় লোকসভা ভোটের আ🌳গে এলাকার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।