প্রথম🍎ে শ্বাসরোধ করে স্বামীকে খুন। তার পর তদন্তকে বিপথে চালিত করতে দেহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপালেন স্ত্রী। মালদার ইংরেজবাজারে তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্ত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জেরায় অপরাধ কবুল করেছে ধৃত। তার দাবি, স্বামী অসম্ভব অত্যাচার করত।
মঙ্গলবার ইংরেজবাজারের নেতাজি কলোনি থেকে সঞ্জয়ꦰ চৌহান নামে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহꦑ উদ্ধার হয়। পরিবারের তরফে জানানো হয়, পেশায় টোটোচালক সঞ্জয় সকালে টোটো নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। পরে খবর আসে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে আছেন। তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতের স্ত্রী পুলিশকে জানান, স্বামীর কাছ থেকে টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী খোয়া গিয়েছে।
তদন্তে নেমে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন, সঞ্জয়ের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় যুক্ত। এর পর তাঁকে লাগাতার জেরা শুরু করেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে আসে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। তাতে জানা যায়, ধা♏রালো অস্ত্রের অঘাতে নয়, সঞ্জয়কে খুন করা হয়েছে শ্বাসরোধ করে। ওদিকে লাগাতার জেরায় খুনের কথা স্বীকা𓆏র করেন প্রিয়াঙ্কা। এর পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধৃত জানিয়েছে, স্বামীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে ও তাঁর প্রেমিক দেবু। এর পর এই খুনকে লুঠের আকার দিতে মৃতদেহে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তারা। ধৃত বধূর দাবি, ২ বছর🎉 আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। স্বামী তাঁকে লাগাতার নির্যাতন করতেন বলে তাঁকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।