দিন কয়েক আগেই গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল নেতা রাজেশ লাকড়া ওরফে টাইগার। এরপর বংশীবদন বর্মন হিন্দুস্তান টাইমস ডিজিটাল বাংলাকে জানিয়েছিলেন, আদিবাসী ও রাজবংশী উভয়ই বঞ্চিত। তারাই এবার কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে। এদিকে এরপরই তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে রাজেশ লাকড়া ওরফে টাইগার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে স্বশাসনের দাবি তুলে সরব হলেন। এই দাবিকে সামনে রেখে বিশ্ব আদিবাসী দিবসে ভারতীয় মূলনিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদের উদ্যোগে নানা কর্মসূচিও পালন করা হয়। প্রসঙ্গত এর আগে তরাই ও ডুয়ার্সের ৪৪৬টি মৌজাকে পঞ্চম তফশিলের আওতায় সিডিউল ডিস্ট্রিক্ট এরিয়া ঘোষণার দাবিতে সরব হয়েছিলেন টাইগার। তবে দলের নেতা হয়েও টাইগারের এই দাবিকে ঘিরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলে সরব হয়েছিলেন। তা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার দলের নেতা টাইগারের মুখে স্বশাসনের দাবির কথা শুনে বেকায়দায় পড়েছেন তাঁরা। এদিকে গত বছর ডিসেম্বরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন টাইগার। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে মাদারিহাট আসন থেকে প্রার্থীও করে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু সেই নেতার মুখেই এখন স্বশাসনের দাবি। রাজেশ লাকড়া ওরফে টাইগার বলেন, ‘এখন আমাদের সঙ্গে গ্রেটার নেতা বংশী বদন বর্মনও রয়েছেন। সংবিধান ওঁদেরও কিছু অধিকার দিয়েছে। সেজন্যই আমরা চাইছি দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারকে নিয়ে ‘অটোনোমাস কাউন্সিল’ করা হোক। এখানে স্বশাসন প্রতিষ্ঠা হোক। উত্তরবঙ্গের চার জেলায় স্বশাসন প্রতিষ্ঠা হলে তৃণমূলেরই লাভ।’ এদিকে এসব শুনে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘দাবির ব্যাপারে দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও টাইগার কোনও আলোচনা করেননি। এনিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’