ফের অজানা জন্তুর পায়ের ছাপকে কেন্দ্র করে আতঙ্কে কাঁপছে জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকা। শনিবার বাঁকুড়ার বারিকুল থানা এলাকার খেজুরখান্নার কাঁকড়িঝরনায় দেখা যায় অজানা জন্তুর পায়ꦆের ছাপ। প্রাথমিক ভাবে সরষে খেতে পায়ের ছাপের দেখা 🐷মিললেও পরে বারিকুলের আরও কয়েকটি জায়গা থেকে বাঘের পায়ের ছাপের দেখা মেলার খবর মেলে। ইতিমধ্যে বাঘকে বন্দি করার জন্য বারিকুলে পৌঁছেছে খাঁচা। ক্যামেরা ট্র্যাপ লাগানোরও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কলকাতা থেকে বারিকুলে পৌঁছেছেন বন দফতরের বিশেষজ্ঞদের দল। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান, পায়ের ছাপ বাঘের নয়, বাঘিনীর।
গত বছর জঙ্গলমহলে দেখা গিয়েছিল বাঘের পায়ের ছাপ। লালগড়ের জঙ্গল তন্ন তন্ন করে খুঁজেও বাঘ ধরতে পারেনি বন দফতর। শেষ পর্যন্ত জঙ্গলে বাঘটিকে দেখতে পেয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেন স্থানীয়রা। এবারও ভরা শীতে পায়ের ছাপ দেখে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন খেজুখান্ন﷽া-সহ বারিকুলের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। অঘটন এড়াতে স্থানীয়দের সন্ধ্যার 🎃পর বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সন্ধের পর জঙ্গল থেকে বাঘ শিকার ধরতে বেরোতে পারে। তখন সামনে কেউ পড়ে গেলে বিপদ। তাছাড়া কনকনে শীতের সঙ্গে সন্ধে পড়তেই জঙ্গলমহলের অধিকাংশ এলাকা ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশায়। ফলে বেশি দূর দেখা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে বাঘের উপস্থিতি টের পাওয়ার পর পালানোর সুযোগ নাও মিলতে পারে।
াও মিলতে পারে।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঘ ধরতে বিনপুরে ইতিমধ্যে পৌঁছেছে ২টি খাঁচা। ইতিমধ্যে সেখানে পৌঁছেছেন বন দফতরের ৪ সদ🃏স্যের বাঘ বিশেষজ্ঞের দল বারিকুল𒁃 পৌঁছেছেন। খাঁচা কোথায় পাতা হবে তা ঠিক করবেন তাঁরাই। ইতিমধ্যে পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে এমন বেশ কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেছেন তাঁরা।
প্রাথমিকভাবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এটি বাঘ নয়, বাঘিনীর পায়ের ছাপ। অনেকে এটিকে বাঘরোলের পায়ের ছাপ ব🐼লেও মনে করছেন। তবে আগাম সতর্কতা হিসাবে স্থানীয়দের জঙ্গলের কাছে গবাদী পশু চড়াতে যেতে নিষেধ করেছে প্রশান।