পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন🌜 তৃণমূলের তাড়া খেলে আশ্রয় নিয়েছিলেন নালায়। এর পর পাটক্ষেতে আত্মগোপন করে থেকে শনিবা🎉র বাড়ি ফিরলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা গ্রামের বাসিন্দা পিংকি বেগম। তাঁর দাবি, বাম সমর্থক হওয়ায় ভোটের দিন থেকে নিদারুণ নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁর পরিবারকে। লুঠ করা হয়েছে গোটা বাড়ি। খোয়া গিয়েছে যাবতীয় সরঞ্জাম। সঙ্গে অন্তত ৭ ভরি সোনার গয়না।
শনিবার পিংকি বেগমদের বাড়িতে যান সিপিএমের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্যসহ বাম প্রতিনিধিদল। সেই খবর পেয়ে বাড়ি ফেরেন পিঙ্কি। ৮ জুলাই ভোটগ্রহণের দিনের বিভীষিকা বর্ণনা করেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। জানান, সেদিন সকাল থেকেই গ্রামের ভোটক🔥েন্দ্রের সামনে অশান্তি করছিল তৃণমূল। কয়েকবার পুলিশকে ফোন করলে তারা এসে লাইন ঠিক করে দিয়ে চলে যায়। বিকেল ৩টের পর শুরু তৃণমূলি তাণ্ডব। বিরোধী ভোটারদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তৃণমূলি গুন্ডা বাহিনী। মারধর করা হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। বাদ যাননি মহিলারাও।
পিংকি বলেন, তৃণমূলি গুন্ডারা আমাকে তাড়া করলে আমি প্রথমে একটা নালার মধ্যে আশ্রয় নিই। যদিও আমি সাঁতার জানি না। এর পর পাট খেতে আত্মগোপন করে ছিলাম। এর মধ্যে খবর পাই আমাদের বাড়ি ভাঙচুর হয়ে গিয়েছে। বাড়ি থেকে সমস্ত জিনিস নিয়ে গিয়েছে। এসে দেখি গোটা বাড়িতে আর কিচ্ছু নেই। বাড়িতে থাকা অন্তত ৭ ভরি সোনার গয়না লুঠ হ😼য়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের পরিবার মিলিয়ে গ্রামের অন্তত ১০০ মানুষ ঘরছাড়া। আমার পরিব🎶ারের বেশ কয়েকজন সদস্য এখনও হাসপাতালে ভর্তি।
সলওিল আচার্য বলেন, তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটের নামে কী ধরণের নির্যাতন চালিয়েছে তার একটা নমুনা মাত্র।