এবার তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কাউন্সিলরকে বেধড়ক মারধর এবং শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল। কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে এই কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় চারজনের নামে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা কাউন্সিলর। নদিয়ার কল্যাণীতে আক্রান্ত মহিলা কাউন্সিলরের নাম বাসন্তী দাস। তিনি কল্যাণী পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর। চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর এবং শ্লীলতাহানি করার অভি✅যোগ উঠেছে।
ঠিক কী ঘটেছে কল্যাণীতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বাসন্তী দেবী সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ওয়ার্ড অ🐲ফিসে বসে কাজ করছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন মহিলা কর্মী। হঠাৎ করেই কয়েকজন মদ্যপ যুবক অফিসে ঢুকে পড়ে। আর হিন্দি সিনেমার সংলাপের মতো বলে ওঠে, বাসন্তী অব তু চল। তারপরই ক্যামেরা বের করে উপস্থিত মহিলাদের ছবি তুলতে শুরু করে। তখন বাসন্তী দ🐎েবী প্রতিবাদ করলে মদ্যপ যুবকরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে এবং কাউন্সিলর–সহ মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? ♕এই ঘটনার পর কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বাসন্তী দাস। কিন্তু এই মদ্যপ যুবকরা কারা তা চেনা যায়নি। ওই ওয়ার্ড অফিসে থাকা মহিলা কর্মীদের সরাসরি শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। হাত ধরে টেনে বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এমনকী🍃 শাড়ি খুলে নেওয়ার চেষ্টা করে মদ্যপরা বলে অভিযোগ। ব🉐হু কষ্টে চিৎকার–চেঁচামিচি করতে তারা পালিয়ে যায়। আর কিছু ঘটতে পারত। এই ঘটনায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কাউন্সিলর বাসন্তী দাসের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখা হয়েছে। মঙ্গলবারও সেখানে পুলিশ পরিদর্শন করে। আর অভিযুক্তদের চিহ্নিত🦂 করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। মদ্যপদের শারীরিক বিবরণ শুনে একটা ধারণা হয়েছে। সেটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সব আক্রান্ত মহিলাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।