নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভুয়ো শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই তালিকা প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই তালিকায় রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষের নাম পাওয়া গিয়েছে। এনিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর প্রথম দিকে মুখ না খুললেও এবার দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করলেন তৃণমূল কাউন্সি🔥লর। তাঁর দাবি, নিয়ম মেনেই তিনি চাকরি পেয়েছেন। এই দাবিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কুহেলি ঘোষ।
তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, ‘আমি ২৩ ডিসেম্বর জানতে পারি পর্ষদের থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তা💟তে আমার ✱নাম রয়েছে। সেই তালিকায় কেন আমার নাম আছে? তা সত্যিই আমার কাছে এখনও অজানা। আমি এম.এ, বি.এড পাশ। আমি আগে প্রাথমিকের শিক্ষক ছিলাম। সেই চাকরি ছেড়ে আমি নতুন কাজে যোগ দিই।’🅺
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তৃণমূল কাউন্সিলর হিসেবে নয়, একজন সাধারণ প্রার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। আমরা যখন পরীক্ষা দিꦬয়েছিলাম, ওএমআর শিটে কত পেয়েছি, বা ইন্টারভিউয়ে কত পেয়েছি তা জানানো হয়নি। আমাদের শুধু কোয়ালিফায়েড দেখানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী নথি যাচাই, ইন্টারভিউ এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া মেনেই আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।'
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কাউন্সিলর ২০১৮ সালে সোনারপুর থানার অন্তর্গত চৌহাটি হাইস্কুলে ইতিহাসের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি ওবিসি বি ক্যাটাগরিতে স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলে🎃ন। পরে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক෴ নিয়োগে ৯৫২টি ওএমআর শিটে বিকৃতি হয়েছে বলে সিবিআই রিপোর্ট দেয়। তারপরেই প্রকাশ হওয়া তালিকায় নাম আসে কুহেলি ঘোষের। আর এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন তৃণমূল কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষ। তাঁর দাবি, তিনি নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। তাহলে তাঁর ওএমআর শিট জনসমক্ষে এনে কারচুপির তথ্য কেন দেওয়া হচ্ছে? সেই প্রশ্ন তুলেছেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর। এর জন্য প্রয়োজনে তদন্তের মুখোমুখি হতেও তিনি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।