বামুন এলো ঘর তো লাঙল তুলে ধর—এই প্রবাদই যেন দেখা গেল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর তাতেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর কাজকর্মের সঙ্গে বিজেপিকে জড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। কারণ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার পা রেখেছেন বিশ্বভারতীতে। তড়িঘড়ি তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর তাতে হাজির হয়েছেন বীরভূম জেলার বিজেপি নেতারা। তাঁরা কেন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এলেন? উঠেছে প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে উপাচার্যকে ‘পাগল’ বললেন বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।বুধবার বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনে উপস্থিত হয়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে যোগ দেন সুভাষ সরকার। অভিযোগ, শিক্ষা–প্রাঙ্গণে শুরু থেকেই মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা, বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা–সহ বিজেপি নেতারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অনুষ্ঠানে কী করে যোগ দিলেন বিজেপি নেতারা? এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।এই ঘটনায় নিন্দা করেছেন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী এবং আশ্রমিকরা। আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, ‘এসব তো আগে ছিল না। এখন দেখছি। জায়গাটাকে নষ্টের চক্রান্ত চলছে। অত্যন্ত অন্যায়।’ আগেও একাধিকবার বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে বিজেপিকে জড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে উপচার্যের বিরুদ্ধে। এমনকী বিজেপি কেন পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে হেরেছে? তা নিয়ে আলোচনা চক্রের আয়োজন করেছিলেন উপাচার্য। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। যদিও সুভাষবাবুর সাফাই, ‘তাঁরা কেউ বিজেপি নেতা হিসাবে নন, সাধারণ মানুষ হিসাবে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।’এরপরই বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘বিশ্বভারতীর উপাচার্য একটি পাগল মানুষ। বাড়িতে তাঁকে ইনজেকশন দিতে হয়। এই পাগল উপাচার্য বিশ্বভারতীর সংস্কৃতি নষ্ট করে দিচ্ছেন। রাজনীতিকরণ বিশ্বভারতীতে আগে দেখিনি। এবার আমিও অনুষ্ঠান করব। শিলচর লাইব্রেরির সামনে করব।’