দক্ষিণবঙ্গে সাত জেলায় বন্যাপরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দায়ী করে সকাল বিকেল কামান দাগছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ম্যান মেড বন্যা’র তত্ত্ব খাড়া করে কেন্দ্রীয় সরকারকেও কাঠগড়ায় তুলছেন তিনি, তখন বাঁধ কেটে এলাকায় বন্যা সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলেরই বিরুদ্ধে। যার জেরে প্লাবিত হয়ে পড়েছে মালদার ভূতনির বিস্তীর্ণ এলাকা। অভিযোগ সেখানে জল বার করার নামে ফুলহর নদীর বাঁধ কেটে দিয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, বাঁধ মেরামতির জনꦐ্য যে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল তাও তৃণমূল নেতারা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। ওদিকে বানভাসিদের অভিযোগ, এই নিয়ে এই বছরে দ্বিতীয়বার বন্যার কবলে পড়লেও এক দানা ত্রাণ পাননি তারা। নৌকায় করে গিয়ে রসদ আনতে হচ্ছে উঁচু জায়গায় থাকা বাজারগুলি থেকে।
জেলা বিজেপি ন🐷েতা গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, দেড় মাস আগে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া ফুলহর নদীর বালির বস্তার বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করে। জল ঢুকে প্লাবিত হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই জল বার করার নামে চণ্ডীপুরের কাছে বাঁধ কেটে দেয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। কিন্তু জল নামার বদলে নতুন করে জল ঢুকতে শুরু করে। যার ফলে আরও কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
ওদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি বলেন, গঙ্গাভাঙনের জন্য ভূতনিতে জল ঢুকেছে। আর গঙ্গাভাঙন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। কে বলতꦆে পারে সিপিএম চক্রান্ত করে বাঁধ কেটে ꦛদেয়নি?
ওদিকে বন্যাপ্লাবিতদের অভিযোগ, দেড় মাস ধরে তাদের খোঁজ নিয়ে আসেনি কেউ। বহু পরিবার গবাদি পশু নিয়ে বাড়ির ছাদে বাস করছে। এক💎 দানা ত্রাণ পৌঁছয়নি কোথাও। এই নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন ভুতনির কয়েক লক্ষ মানুষ।