মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তৃণমূল চিকিৎসক নেতার দাদাগিরি নিয়ে সরব হয়েছিলেন সেখানকার পড়ুয়া চিকিৎসকরা। এই আবহে চাপের মুখে মুস্তাফিজুর নামক সেই তৃণমূলপন্থী চিকিৎসকের হস্টেলে ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তে সেই নিষেধাজ্ঞা জারির ২২ ঘণ্টার মধ্যেই আবার সেটি বাতিলও করা হয়েছে। এই আবহে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের পড়ুয়া চিকিৎসকরা। গতকাল অধ্যক্ষের ঘরের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকরা বসে পড়ে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান। অবশ্য অধ্যক্ষ গতকাল হাসপাতালেই যাননি। পরে এমএসভিপি-র সঙ্গে বসে এই নিয়ে আলোচনা হয়। তবে জট কাটেনি। এই আবহে মুস্তাফিজুর নামক সেই তৃণমূলী চিকিৎসকের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাকি চিকিৎসক পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য, এই মুস্তাফিজুর নাকি তিন বছর আগেই পাশ করে গিয়েছে। তবে এখনও সে হস্টেলে দাদাগিরি চালায়। (আরও পড়ুন: 'মাননীয়ার ভাসুরের ছেলে', মমতা-সন্দীপের 'সম্পর্ক' নিয়ে পোস্ট, অভিযোগ দায়ে🔯র TMC-র)
আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে সিঁথি, সিভিকই যেন💮 'গলার কাঁটা', বড় পদক্ষেপের পথে পুলিশ
উল্লেখ্য়, আরজি করের নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেও আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়ারা। অভিযোগ, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সামিল হওয়া চিকিৎসকরদের হস্টেল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল এই তৃণমূলী চিকিৎসক মুস্তাফিজুর এবং তার অনুগামীরা। অভিযোগ, শাসকদলের হাত মাথায় থাকায় পাশ করার তিন বছর পরও হস্টেলের একটি ঘর দখল ꦇকরে বসে আছে মুস্তাফিজুর। সেখানে রীতিমতো গুন্ডাগিরি চালাচ্ছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিতে বৃহস্পতিবার হাসপাতালের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর অধ্যক্ষের লিখিত আশ্বাসের ভিত্তিতে অবস্থান ওঠে। এর পর মুস্তাফিজুরের হাসপাতাল চত্বরে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা জারির ২২ ঘণ্টা পরই ফের নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়। যাতে মুস্তাফিজুরের হস্টেলে ঢোকার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এই আবহে ফের তীব্র আন্দোলনে নেমে🍨ছেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের পড়ুয়া চিকিৎসকরা। আন্দোলনরত এক চিকিৎসকের কথায়, মুস্তাফিজুরসহ তৃণমূলের ইউনিটের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক আন্দোলন বানচাল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁরা জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি দিচ্ছেন। মুস্তাফিজুর ৩ বছর আগে এই মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করে গিয়েছেন। তার পরও উনি হস্টেলের ঘর দখল করে বসে রয়েছেন। গত বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর আদালত হস্টেলে প্রাক্তন ছাত্রদের থাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু তৃণমূল নেতা হওয়ায় উনি সেই নির্দেশ মানেন না। এদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, এরকম কোনও ঘটনা জানা নেই। অভিযুক্ত চিকিৎসক কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।