জেল থেকে ছাড়া পেয়ে খোলা আকাশের নীচে কদিন আগেই আসেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ছত্রধর মাহাতো। তাঁকে ফুল–মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। মোটরবাইক মিছিল পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এমন 🥀সংবর্ধনা দেওয়া হলেও জেলা কমিটির সভায় ডাক পেয়েও এলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো। ছত্রধরকে সভায় ডেকে সংবর্ধনা জানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে সেখানে না এসে ছত্রধর নানা গুঞ্জন তৈরি করলেন। এই ঘটনার পর পরবর্তী জেলা কমিটির বৈঠকে ছত্রধর মাহাতোকে ডাকা হবে কিনা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জানতে চাইবে তৃণমূল কংগ্রেসে জেলা নেতৃত্ব। এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ছত্রধর মাহাতো–কে জেল থেকে বের করতে চেষ্টা বহু🍎 করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বারবার তাঁর খোঁজ নেওয়া হয়েছিল জেলে থাকাকালীন। তাঁর পদে ফেরার অপেক্ষাও করেছিল দল। কিন্তু এনআইএ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে লালগড়ের আমলিয়া গ্রামের বাড়িতে ফিরে ছত্রধর চুপচাপ হয়ে গিয়েছেন। কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলছেন না। এমনকী বাড়ি থেকে বেশি বের হচ্ছেন না। গত ১৭ নভেম্বর বন্দি জীবন থেকে ফেরার পর পুরনো সঙ্গীরা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছত্রধর মাহাতোকে ঝাড়গ্রাম জেলার নানা জায়গায় সংবর্ধনা দেন। তবে দলের জেলা নেতৃত্বের উদ্যোগে ছত্রধরকে সেভাবে স্বাগত জানানো ওইদিন হয়নি বলে অভিযোগ। তাই কি দূরত্ব বজায় রাখলেন ছত্রধর? উঠছে প্রশ্ন।
জঙ্গলমহলের এই নেতা ছত্রধর এনআইএ মামলা থেকে মুক্ত হয়েছেন ঠিকই তবে বিপদ এখনও কাটেনি বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। তবে বিপদ কাটলে জেলা নেতৃত্ব আবার আগের মতো এগিয়ে আসবে বলে সূত্রের খবর। তবে ঝাড়গ্রামের নানা জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ নেতাদের ব্যক্তিগত আয়োজনে ছত্রধরকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এটা ছত্রধর মাহাতো চাইছেন না। তিনি൲ চান, দলের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হোক। গত বৃহস্পতিবার লোধাশুলির পথসাথী ভবনে জেলা কমিটির বৈঠকে ছত্রধর মাহাতোকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য আমন্ত্রণ করা হয়। যাতে সাড়া দেননি ছত্রধর।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দুলাল মুর্মু নিজেই ছত্রধর মাহাতোকে ফোন করে ডেকে ছিলেন। তবে ছত্রধর যাননি বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে দুলাল বলেন, ‘প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদককে জেলা কমিটির সভায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তিনি কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি।’ আর ছত্রধর মাহাতোর বক্তব্য, ‘সংবর্ধনা সভার বিষয়ে আগাম খবর ছিল না। আর বৃহস্পতিবার আমি ব্যক্তিগত কাজে অন্যত্র বে♔রিয়ে গিয়েছিলাম। তাই সেখানে যেতে পারিনি। ওই সভায় আমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে সেটাও জানতাম না।’ কিছু নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে ছত্রধরের বলে সূত্রের খবর। তবে অনেকে মন💝ে করেন জঙ্গলমহলের এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বাম আমলে ছত্রধরের জনসাধারণের কমিটির আন্দোলনের জেরে।