মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়ে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন উদ্ধব ঠাকরের দলের নেতা সঞ্জয় রাউত। এবার সেই সমালোচনার জবাব দিলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বার্তাসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই নিয়ে বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলি কি এরপর সিদ্ধান্ত নেবে যে সুপ্রিম কোর্টের কোনও মামলা শোনা উচিত?' (আরও পড়ুন: 'বৈষম্য মেনে নেওয়া উচিত না…🐻', চিন্ময় প্রভু ইস্যুত ইউনুসকে কড়া বার্তা ইসকনের)
আরও পড়ুন: চিন্ময়♕ প্রভুর গ্রেফতারি নিয়ে ভারতের 'ধমকের' জꦉবাব বাংলাদেশের, দিল্লিকে ঢাকা বলল…
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বলেন, 'সারা বছরই আমরা সাংবিধানিক বিষয়ক মামলা শুনে গিয়েছি। কখনও নয় বিচারপতি বেঞ্চ, কখনও ৭ বিচারপতির বেঞ্চ বা ৫ বিচারপতির বেঞ্চ মামলা শুনেছে এবং তার ওপর রায় জিয়েছে। এই আবহে কোনও ꦏএকজন ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দল এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে সুপ্রিম কোর্ট কোন মামলা শুনবে? সরি, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার প্রধান বিচারপতির।'
উল্লেখ্য, নির্বাচনে হেরে ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে বেনজির ভাবে আক্রমণ শানান উল্লেখ্য, শিবসেনা ভাঙার পরে দলের 'বিদ্রোহী' বিধায়কদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল উদ্ধব শিবির। তবে সেই সংক্রান্ত মামলায় উদ্ধবের পক্ষে রায় দেয়নি শীর্ষ আদালত। বরং মহারাষ্ট্রের তৎকালী স্পিকারকে সেই নিয়ে দ্রুꦿত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছিল। তবে এরপর দলত্যাগ বিরোধী আইনে সদস্যপদ বাতিল হয়নি একনাথ শিন্ডে শিবিরের কোনও বিধায়কেরই। সেই প্রসঙ্গ টেনেই প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড়ক🦂ে আক্রমণ শানান সঞ্জয় রাউত। সঞ্জয় রাউত এই নিয়ে আজ বলেছিলেন, 'তিনি (ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়) দলত্যাগীদের মন থেকে আইনের ভয় মুছে ফেলেছেন। তাঁর নাম ইতিহাসের পাতায় কালো অক্ষরে লেখা থাকবে।' তাঁর দাবি, শিসেনার 'বিদ্রোহী' বিধায়কদের নিয়ে সিদ্ধান্ত না নিয়ে দল্যাগীদের জন্যে রাস্তা খুলে দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি।
উল্লখ্য, উদ্ধবের থেকে কয়েক গুণ বেশি আসন এসেছে শিন্ডের শিবসেনার ঝুলিতে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এখন শিন্ডের দলই 'আসল' শিবসেনা। এই আবহে ভোটের ফল নিয়ে একনাথ শিন্ডে বলেছিলেন, 'এটি একটি ঐতিহাসিক বিজয়। গত আড়াই বছরে আমাদের অন্তর্ভুক্তিমꦡূলক রাজনীতি এবং ব্যাপক উন্নয়নের কারণে মহারাষ্ট্রের জনগণ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আজ জনসাধারণ দেখিয়ে দি🐻য়েছে যে বালাসাহেবের শিবসেনা কোনটি... মানুষ ঠিক করেছে আসল শিবসেনা কে। ২০১৯ সালের মতো এবারও আমরা ৫৬টি আসনে জিতেছি।'
এদিকে এই ফল মানতে রাজি ছিলেন না সঞ্জয় রাউত। এই নিয়ে তিনি বলেছিলেন, 'এটা মানুষের জনমত হতে পারে না। এই ফলাফল মেনে নিতে আমরা রাজি নই। এই ধরনের ফল ম🌌হারাষ্ট্রের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা মহা🍸রাষ্ট্রের জনগণের অনুভূতি জানি। এটা ঘটতে পারে না। মহাযুতি পুরো রাষ্ট্রতন্ত্র দখল করেছে। এ রাজ্যের মানুষ অসৎ নয়। কীভাবে শিন্ডের সব প্রার্থী জয়ী হতে পারেন?'