পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পরেই অনেকেই স্বজনপোষণের অভিযোগ করে💞ছেন তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছিল, যাঁরা নেতা ধরেছেন, তাঁরাই টিকিট পেয়েছে। কিন্তু, নেতা ধরলেই যে তৃণমূলের টিকিট পাওয়া যায় না, এমনই দাবি করলেন অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তিনি বার্তা দিয়েছেন, 'তৃণমূল কাজের ভিত্তিতে প্রার্থীদের টিকিট দেয়। তাই নেতা ধরলেই টিকিট পাওয়া যাবে না।' যদিও তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যকে নাটক বলে মনে করছে বিজেপি।
এই মুহূর্তে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের নজর রয়েছে পুরভোটের দিকে। কয়েকদিন আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতাকর্মীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, পুরভোটে কোনওরকমভাবে বল প্রয়োগ করা যাবে না। এবার অভিষেকের সুরে সুর মিলিয়ে অশোকনগরের বিধায়ক জানিয়ে দিলেন, 'কেউ যদি তৃণমূলের প্রার্থী হতে চান, তাহলে অবশ্যই তাঁকে মানুষের হয়ে কাজ করতে হবে। মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ থাকতে হবে। আমার হাতে সিগারেটের প্যাকেট গুঁজে দিলেই প্রার্থী হওয়া যাবে না। ' একই সঙ্গে পুরভোট নিয়ে যাতে কোনও রকমের অশান্তি না ছড়ায় তা নিয়ে তিনি কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'শান্তিপূর্ণভাবে সমস্ত মানুষকে ভোট দিতে হবে। কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না। অশান্তি ছড়ানো যাবে না। বল প্রয়োগ না করে সাধারণ মানুষের ভোটে জিততে হবে। 'এ বিষয়ে তিনি জানান, তৃণমূল প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউনꦇ্সিলরদের কাজের পারফরম্যান্স কেমন তা নিয়ে সমীক্ষা করছে। তৃণমূল স্বচ্ছ এবং﷽ অবাধ ভোটের পক্ষে। '
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যের পরে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বারাসত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা নীলরতন মিত্র বলেন, ' তৃণ🔯𝔉মূল কোনওদিনই সাধারণ মানুষের ভোটে জিততে পারবে না। কারন মানুষ তৃণমূলকে চায় না। সাধারণ মানুষ ভালো করেই জানেন যে তৃণমূল নাটক করছে। জোর না খাটালে তৃণমূল ভোটে জিততে পারবে না।