বন্দুক হাতে নিয়ে দফতরে বসে রয়েছেন এক ব্যক্তি। এমনই একটি ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ওই মহিলা আদতে তৃণমূল নেত্রী তথা পুরনো মালদহের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি। তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কে পড়ল তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই বিষয়ে প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দল। তাদের কাছে সবসময় আগ্নেয়াস্ত্র থাকে। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ্রচন্দ্র মণ্ডল বলেন, 'এটা ওদের কালচারে পরিণত হয়েছে। ওদের কাছে খুঁজলেই বোমা পাওয়া যাবে। একে-৪৭ পাওয়া যাবে। কয়েক বছরে মালদাকে বারুদের স্তূপে পরিণত করেছে ওরা। পুলিশ চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে কিছু বলতে পারছে না।' উল্লেখ্য, ওই পঞ্চায়েত শ্রাবন্তীর স্বামীর বিরুদ্ধে বিডিও অফিসের এক কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী দাবি করেছেন, 'তৃণমূল সভানেত্রী হতে যে বন্দুক দেখা গিয়েছে, সেটি আদৌও খেলনা নাকি সত্যিকারের আগ্নেয়াস্ত্র, তা খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করবে। তবে সত্যি করে যদি সরকারি দফতরে এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তা মোটেই কাম্য নয়।' যদিও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তৃণমূল নেত্রীর।