এখন যুগটা সোশ্যাল মিডিয়ার। তাই রাজনীতির প্রচার থেকে জবাব সবটাই এখান থেকে করা যায়। করোনাভাইরাসের সময় একুশের বিধানসভা নির্বাচন ছিল। তখন সব রাজনৈতিক দলই কমবেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছিলেন। এবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার। বিজেপি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেই তার জবাব দেওয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন এই দুই দলের আইটি সেল অত্যন্ত শক্তিশালী। যা ব্যবহার꧅ হবে লোকসভা নির্বাচনে। ভাল কাজের প্রচার এখন থেকেই শুরু হচ্ছে। রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেস যে সামাজিক কাজগুলি করে মান꧂ুষের উপকার করেছেন সেগুলি তুলে ধরা হবে বলে হাওড়ার শরৎ সদনে জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে একদিকে যেমন দলীয় প্রচার করা হবে, তেমনি কুৎসা, অপপ্রচারের জব🎉াবও দেওয়া হবে। একইসঙ্গে ‘দিল্লিতে পরিবর্তন চাই’ এবং ‘বলছে বাংলার জনতা প্র🎐ধানমন্ত্রী হোক মমতা’ প্রচার করা হবে। এবারের লোকসভা নির্বাচন খুবই হাইভোল্টেজ। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার সর্বশক্তি দিয়ে লড়বে। আর তামাম বিরোধীরা একজোট হয়ে লড়াই করবে। ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে সেই জন্যই। প্রতিটি রাজ্যে সেই ছবি দেখা যাবে। এই বিষয়ে শশী পাঁজা বলেন, ‘পর পর প্রজন্মের মধ্য দিয়ে এখন একটা পরিবর্তন এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়া একটা বড় বিষয় হয়ে উঠেছে। এখন সশরীরে পৌঁছনোর আগে সোশ্যাল মিডিয়া পৌঁছে যাচ্ছে। এটাকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পুরোপুরি ব্যবহার করতে হবে।’
এদিকে ꦑবিজেপি এখন থেকেই নানা পোস্ট করে চলেছেন। সদ্য সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন বিজেপির আইটি সেলের নেতা অমিত মালব্য। তার পাল্টা নিমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মালব্যের নামে। এছাড়া নানা ফেক ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেয় বিজেপি বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। এই বিষয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজার বক্তব্য, ‘সোশ্যাল মিডিয়া যত ব্যবহার করা যায় ততই রাজ্য সরকারের ভাল কাজ, দিকনির্দেশ, ভাবনাচিন্তা, মানুষের প্রত্যাশা—সব পৌঁছে দেওয়া যাবে। বিজেপি মিথ্যা, ফেক ভিডিয়ো করে। মানুষকে ভুল বোঝাতে এসব করা হয়। বিজেপির এই কুৎসা বন্ধ করতে ফ্যাম তৃণমূল সমানভাবে কাজ করছে। তারা প্রচারও করবে।’
আরও পড়ুন: 🤪‘অমিত মালব্যের টুইটে অশান্তি ছড়াতে পারে’, থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন চন্দ্রিমা
অন্যদিকে এই সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়টি নিয়ে একটি আলোচনাসভা আয়োজন করা হয়েছিল হাওড়া শরৎ সদনে। সেখানে বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়াকে কতটা অপব্যবহার করে সে কথা তুলে ধরেন রাজ্যের মন্ত্রী। মানুষকে আরও সচেতন করতে তাঁর কথায়, ‘রাজ্য সরকারের কাজগুলি তুলে ধরার পাশাপাশি দলের আদর্শও সামনে নিয়ে আসা হবে। আর অসত্য কথা, কুৎস⭕া, মানুষের মধ্যে বিভেদ, উত্তেজনা, প্ররোচনা তৈরি করার বিষয়টি আমরা করি না। এটা বিজেপি করে।’