এবার বিজেপি সাংসদকে এলাকায় ঢুকতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। আর তাতেই এখন তেতে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি।🐼 সম্প্রতি ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একই ইস্যুতে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে তুলল তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলার হুঁশিয়ারি থেকে শুরু করে এলাকায় ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন মালতিপুরের বিধায়ক তথা মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি। ১০০ দিনের কাজের টাকা ও আবাস যোজনা টাকার দাবিতে রতুয়ার সভা থেকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? এমনিতেই গরিব মানুষ এখনও কাজ করে একশো দিনের টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। সেখানে এবার সুর চড়ালেন বিধায়ক। আবদুর রহিম বক্সি বলেন, ‘একশো দিনের টাকা না নেওয়া পর্যন্ত খগেন মুর্মুকে রতুয়ার বুকে আর ঢুকতে দেব না আমরা। একশো দিনের টাকা না পাওয়꧋া পর্যন্ত বিজেপির কর্মীদের কোন আন্দোলন করতে তৃণমূল কংগ্রেস দেবে না। গরিব মানুষের পেটে ভাত নেই, সেই ভাতের ব্যবস্থা প্রথমে করতে হবে। তারপর ঝান্ডা নিয়ে আন্দোলন করুন। গরিব মানুষের মাথার উপর ছাদ নাই, সেই ছাদের ব্যবস্থা আগে করুন তারপর ঝান্ডা নিয়ে আন্দোলন করবেন।’
বিজেপির প্রতি হুঁশিয়ারি♉ কী? মালদার রতুয়ায় ১০০ দিনের কাজের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকার দাবিতে সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই সভায় বক্তব্য রাখার সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘আমি রতুয়ায় দেখছি কতিপয় মানুষ বিজেপির ঝান্ডা নিয়ে ব্লক অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে বলছে, তৃণমূল চোর হ্যায়। ৭০০০ কোটি টাকা বিজেপি আটকে রেখেছে। আর🗹 এই নিয়ে এখানকার সাংসদ খগেন মুর্মু একটাও কথা বলছেন না। মালদায় চারজন বিজেপির বিধায়ক আছেন তাঁরাও একটা কথা বলছেন না। আর এখানে এসে উসকানি দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছেন খগেন মুর্মু। দাঙ্গা লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই সাংসদ খগেন মুর্মুকে রতুয়ার বুকে আর ঢুকতে দেব না।’
আরও পড়ুন: ছটপুজোর জন্য শহরജে প্রস্তুতি শুরু, একাধিক কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করছে কেএমডিএ
আর কী বার্তা তৃণমূল বিধায়কের? মঞ্চ থেকে বিজেপি সাংসদ খগেন 🅰মুর্মুকে আক্রমণ করে নিজের বক্তব্যে অনড় থাকেন মালতিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘সিবিআই লাগাও, ইডি লাগাও তাতে কোন আমাদের আপত্তি নেই। মানুষের ১০০ দিনের টাকা আনার জন্য তোমার কোনও তৎপরতা নেই। মানুষের কাজ যখন করতে পারছে না তখন এলাকায় ঢুকবে কেন? প্রথমে গরিব মানুষের হকের টাকা সেটা ফেরত দিতে হবে। না হলে রতুয়ার মানুষ ঠিক করেছেন এই সাংসদ এবং তার দলের লোকজনকে এলাকায় ঢুকতে দেবেন না। সাংসদ বড় বড় কথা বললে রতুয়ার মানুষ তাকে ছেড়ে কথা বলবে না।’ পাল্টা মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিয়েছে। সেই টাকা রহিম বক্সির পকেটে গিয়েছে। তার দলের লোকেদের পকেটে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের একমাত্র জায়গা হচ্ছে জেলখানা।’