দলবিরোধী কাজ🧜 করার জন্য মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির বিধায়ক আবদুর রাজ্জাককে শোকজ করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় জলঙ্গির বিধায়কের। এমনকী এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সেটা বড় আকারে দেখা দেয়। আর এই আবহের মধ্যেই জলঙ্গির বিধায়ককে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জলঙ্গির বিধায়ক আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল এবং জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম সরকারকে সব দলীয় কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এমনকী দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য জলঙ্গি উত্তর জোনের সভাপতি বিষ্ণুপদ সরকারকেও তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বহরমপুর–ম💃ুর্শিদাবাদ সংগঠনিক জেলা সভাপতি শাওনি সিংহরায়ও জানিয়ে দিয়েছেন, বিধায়ককে শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে। অভিযোগ, বাম–কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন করেছে বিধায়ক আবদুর রাজ্জাক এবং উত্তর জোনের ব্লক সভাপতি বিষ্ণুপদ সরকারের বিরুদ্ধে। তাই তাঁদের শোকজ নোটিশ পাঠানো𓆏র সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে জেলা সভানেত্রীর বিরুদ্ধেই পাল্টা একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন জলঙ্গির বিধায়ক আবদুর রাজ্জাক। তাঁর অভিযোগ, ‘জেলা সভানেত্রী নিজেই গোষ্ঠীকোন্দলে মদত দিচ্ছেন।’
অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছে জেলায়। আর বিষয়টি নিয়ে শাওনি সিংহরায় জানান, এখানের বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতি নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে প্রত্যেকটি জায়গায় সিপিএম–কংগ্রেসকে সুবিধা করে দিয়েছেন। এটা ♔দলের পক্ষ থেকে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাঁকে বারবার বলা হয়েছে, কর্মীদের নিয়ে চলার জন্য। কিন্তু সেটা তিনি করেননি। পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনের ক্ষেত্♚রে বিধায়ক ও জেলা পরিষদের এক সদস্য দলকে ভোট দিলেন না। তাঁদের সমর্থনে সিপিএমের পক্ষ থেকে স্থায়ী সমিতি গঠন হল। এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠাচ্ছি। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকেও জানানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 💫কলকাতা পুরসভায় তুমুল মারপিট, বিজেপি–তৃণমূল কাউন্সিলরদের কাণ্ডে ক🐓লঙ্কিত
ঠিক কে, কী বলছেন? জেলাꦬয় কান পাতলে শোনা যায়, জলঙ্গির বিধায়ক আবদুর রাজ্জাকের বিরোধী গোষ্ঠী জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রাকিবুল ইসলাম। রাকিবুল শাওনি সিংহরায়ের অনুগামী বলে পরিচিত। যার জেরে বিরোধ চলছিল তাঁদের মধ্যে। শাওনি সিংহরায় বলেন, ‘খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যে জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্বেও বিধায়ক আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল, জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম সরকার উপস্থিত থেকেও স্থায়ী সমিতির নির্বাচনে দলের পক্ষে ভোট দেননি।’ আর জলঙ্গির বিধায়ক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। জেলা যুব সভাপতি রাকিবুল নির্দলের হয়ে ভোট করেছেন। সত্যতা না জেনে শোকজ করা হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বকে জবাব দেব।’