তরুণী সাংবাদিককে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত তন্ময় ভট্টাচার্যকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তন্ময় কাণ্ডে আজ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে মিছিল বের করা হবে বলে জানিয়েছেন মদন। পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দিকে তাঁর খোঁচা, 'ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে।' উল্লেখ্য, মহিলা সাংবাদিকে🍌র কোলে বসার অভিযোগ তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এরপর♔ সিপিএম তাঁকে সাসপেন্ডও করেছে। তবে গোটা ঘটনায় নানা দাবি করছেন তন্ময়। কখনও তিনি বলেছেন, মজা করেছেন। এমনটা তিনি সবার সাথেই করে থাকেন। আবার ৮৩ কেজি, ৪০ কেজির তত্ত্ব খাড়া করেছেন। আর এই সবের মাঝেই তৃণমূল বিধায়ক মদনের বক্তব্য, 'কোনও মহিলার সম্মতি ছাড়া তাঁকে অত্যাচার করা হলে তা লেনিনবাদ বা মার্কসবাদ ব্যাখ্যা দিয়ে চেপে দেওয়া যাবে না।'
মদন মিত্র বলেন, 'এটা যদি তৃণমূল কংগ্রেসের কারও বিরুদ্ধে হত, আমার বিরুদ্ধে হত মাথা ন্য⛎াড়া করে ঘুরে বেড়াত সব। এটা ঠিক না। তন্ময়বাবু মনে রাখবেন ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেয় করেছেন আপনারা। কোনও মহিলার সম্মতি ছাড়া তাঁকে অত্যাচার ক⛎রা হলে তা লেনিনবাদ বা মার্কসবাদ ব্যাখ্যা দিয়ে চেপে দেওয়া যাবে না। আমাদের ছেলেমেয়েরা কালকেই মিছিল বের করছে।'
এদিকে এই ঘটনায় সোমবারই তন্ময়কে বরানগর থানায় ডেকে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি, অভিযোগকারিণীরও বয়ান সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে গতকাল তন্ময়ের সাফাই, 'ভদ্রমহিলা আমার বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন আনুমানিক ১💜০টা ৪০ মিনিটে। আমার পাশের বাড়ির এক যুবক আমায় রাতে জানিয়েছে যে মেয়েটি হাসতে হাসতেই বাড়ি থেকে বেরোচ্ছিলেন। মেয়েটি ফেসবুক লাইভে বলেছেন যে উনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। আমার বক্তব্য হল যে সময়ের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তারপরে মেয়েটি প্রায় ২৫ মিনিট আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এরপর আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সল্টলেকে সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল। যিনি এতটা 🌊ট্রমাটাইজ হয়ে রয়েছেন তাঁর পক্ষে কি এত কাজ করা সম্ভব?'
তন্ময় ভট্টাচার্য এই নিয়ে আরও বলেন, 'ভদ্রমহিলার ওজন ৪০ কেজির বেশি নয়, আমার ওজন ৮৩ কেজি। ৮৩ কেজি ওজনের এক পুরুষ যদি ৪০ কেজি ওজনের এক মহিলার কোলে বসে পড়েন তাহলে সেই মহিলা শারীরিকভাবে ফিট থাকে কি না আমি জানি না। এটা পরিকল্পিত কুৎসা।' উল্লেখ্য, রবিবার সকালে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে চরম লাঞ্ছনার শিক﷽ার হন বলে অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভ করেন এক তরুণী সাংবাদিক। সেই ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি সমাজের সকলস্তরেꦫই বিতর্ক শুরু হয়। এই আবহে সিপিএম নেতৃত্ব জানায়, এই ধরনের ঘটনা দল কখনও বরদাস্ত করবে না। তাই, তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।