যেভাবে বিশ্বের বিভিন্ꩵন দেশ থেকে আসা ছাত্রছাত্রীরা কানাডায় 'আশ্রয়' চেয়ে আবেদন করছেন, এবং যেভাবে এই সংখ্যা🐈টা বাড়ছে, তাতে উদ্বিগ্ন জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সেদেশের 'কলেজ অফ ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কনসালট্যান্♕টস' (সিআইসিসি)-এর প্রেসিডেন্ট তথা মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক (সিইও) জন মুরেকে চিঠি লিখেছেন ট্রুডো সরকারের অভিবাসন, শরণার্থী এবং নাগরিকত্ব 𓃲বিভাগের মন্ত্রী মার্ক মিলার।
প্রসঙ্গত, সিআইসিসি-ই হল সেই সংস্থা, যারা কানাডায় আসা শরণার্থীদের ꦦএবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পಌড়ুয়াদের কানাডায় আশ্রয় দেওয়া বা তাঁদের নাগরিকত্ব প্রদান করার বিষয়টি পরিচালনা করে। এবং তাঁদের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করে।
মিলারের অভিযোগ, বিদেশ থেকে 🦩আসা পড়ুয়াদের একাংশ কানাডা সরকারের নিয়ম ভেঙে অন্যা♑ন্য (থার্ড পার্টি) সংস্থার দ্বারা প্ররোচিত হচ্ছেন এবং ভুয়ো ও মিথ্যা তথ্য পেশ করে কানাডায় আশ্রয় চাইছেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন মিলার।
মুরেকে পাঠানো সেই চিঠির প্রতিলিপি নিজের এক্স হ্যান্ডেলেও পোস্ট করেছেন মিলার। তিনি লিখেছেন, 'যাঁদের নিরাপত্তা প্রয়োজন, কানাডা সেইসব মানুষকে ౠঅবশ্যই সহযোগিতা করতে চায়। কিন্তু, অনেকেই এখানে আশ্রয় পাওয়ার জন্য নিজেদের সম্পর্কে ভুল তথ্য দিচ্ছেন অথবা সেই ভুয়ো তথ্যের ভিত্তিতেই কানাডায় পাকাপাকিভাবে থাকার আবেদন জানাচ্ছেন। এর ফলে কানাডার অভিবাসন ব্যবস্থা নষ্ট হচ্ছে।'
মিলার তাঁর চিঠিতে মুরেকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, যদি দেখা যায়, কোনও লাইসেন্সপ্রাপ্ত উপদেষ্টা জেনে-বুঝে এই ধরনের কোনও অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ღকঠোর পদক্ষেপ করা হবে। এমনকী, দোষী ব্যক্তির লাইসেন্স পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হতে পারে।
তথ্য বলছে, কানাডায় থাকতে𓆏 চেয়ে সবথেকে বেশি আবেদন করছেন ভারত থেকে আসা পড়ুয়ারা। বস্তুত, আবেদনকারীদের এই সংখ্যা বৃদ্ধিতে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের অবদানই সবথেকে✤ বেশি।
এবছর, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে ১,৩২,৫২৫ জন বিদেশি কানাডায় আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন, তাঁদের মধ্যে ২৪,৩৮০ জনই ভার🐓তীয়। গত বছর মোট ১,৪৩,৩৬৫ জন কানাডায় আশ্রয় চেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয় ছিলেন ১১,২৬০ জন।
🎉অথচ, ২০১৫ সালে মোট ১৬,০৫০ জন বিদেশি কানাডায় থাকতে চেয়ে আবেদন 💧করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয় ছিলেন ৩৮০ জন।
এই ঘটনায় ভারতও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। নয়াদিল্লির বক্তব্য হল, খলিস্তানপন্থীরাই কান𒈔াডার অভিবাসন ব্যবস্থাপনা নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে এক আধিকারিক হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছিলেন, কানাডায় ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার বাইরে খলিস্তানিদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তরুণদের অংশগ্রহণ লক্ষ্যণীয়ভাবে বাড়ছে। তাঁরা সেখানে গিয়ে নিজেদের সেলফি তুলছেন। আর তারপর প্রায় মুহূর্তে ঘটনাস্থল থে🥂কে চলে যাচ্ছেন!