বেসরকারি সুতো তৈরির কারখানা খোলার দাবিতে ত্রিবেণীতে শ্রমিকদের সঙ্গে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন তৃণমূল বিধায়ক। শ্রমিকদের দাবি, অবিলম্বে কারখানার গেট খুলতে হবে। যদিও এই কারখানা বন্ধের হয়ে যাওয়ার পিছনে তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, কালীপুজোর দিন থেকেই ত্রিবেণীর কুন্তিঘাটের কেশোরাম রেয়ন কারখানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন শ্রমিকরা। গত ৫ মাস ধরে কারখানার গেটে তালা ঝুলছে। অবিলম্বে যাতে কারখানার গেটের তালা খোলা হয়, সেই দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন শ্রমিকরা। এবার তাঁদের সেই অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীও। বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক জানান, 'কারখানার কর্তৃপক্ষ চাইছে, ট্রাকে করে মাল নিয়ে যেতে। এরপর মেশিন খুলে নিয়ে যাবে। ওরা কারখানা বন্ধ করে দিতে চায়। আমরা তা হতে দেব না। সরকার, মন্ত্রী কারও কথাই কারখানা কর্তৃপক্ষ শুনতে চাইছে না। ওদের স্পর্ধা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি।' কারখানা কর্তৃপক্ষ ক্ষতির কথা বলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কসের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে। বয়স্ক শ্রমিকদের এককালীন তিন লাখ টাকার বিনিময়ে স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার কথাও বলেছে তাঁরা। পাশাপাশি অন্যান্য শ্রমিকদের এককালীন কিছু টাকা দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কারখানার শ্রমিকরা তা মানতে রাজি নয়। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে কারখানা খুলে দিতে হবে। ইতিমধ্যে শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না আন্দোলনরত শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। কিন্তু কোনও সমাধানসূত্রই বেরোয়নি। যদিও শ্রমিকদের এই সংকটের মুখে পড়া নিয়ে বিজেপিকেই নিশানা করেছে বিজেপি। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুরেশ সাউ জানান, তোলাবাজির কারণেই কারখানা বন্ধ হয়েছে। লোক দেখানোর জন্যই এই বিক্ষোভ।