আজ, সোমবার নিজের কাজের পরিসংখ্যান দিয়ে এবার বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বজবজের চড়িয়ালে সভা করেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বহু প্র♑তীক্ষিত চড়িয়াল ব্রিজ উদ্বোধন করেন তিনি। এই ব্রিজ উদ্বোধন করে অভিষেক সরহ হয়ে জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই বারবার তাঁকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে এবার রাজ্যে ১০ বার ইডি আসুক বলেই জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার চড়িয়ালে সেতু উদ্বোধনে অনুষ্ঠানে হাজির হন অভিষেক। সেখানে অভিষেকের নিশানায় কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে সাংসদ হিসাবে নিজের কাজ নিয়ে সবার সামনে তুলে ধরেন অভিষেক। কথা দিয়ে যে তিনি কথা রাখেন সেটাও বুঝিয়ে দেন। সাংসদ তহবিলের টাকা খরচের হিসাবও দেন অভিষেক। এখানেই অভিষেক বলেন, ‘আমি বজবজবাসীর কাছে চির কৃতজ্ঞ। মায়েরা উলুধ্বনি দিয়েছেন। আমি যে উৎসাহ লক্ষ্য করেছি সেটা অভূতপর্ব। যত কুৎসা হচ্ছে, তত মানুষের জনসমর্থন বাড়ছে। ১৮৯৭ সালে আজকের দিনে স্বামীজির পায়ের ধূলো এই বজবজের মাটিতে পড়েছিল। ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় করে বꦑ্রিজ তৈরি হল। পাঁচ দশকের দাবি পূর্ণ হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁচে থাকুক বা না থাকুক, আমার কাজ হৃদয়ে থাকবে সকলের। এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখুন আপনার💜া। আমার দায়িত্ব ছিল আমি করে দিলাম।’
অন্যদিকে এই ব্রিজ বা সেতু গড়ে ওঠায় বহু মানুষের উপকার হবে। যানজট হবে না। এমনকী উলুবেড়িয়ার মানুষজনেনও সুবিধা হবে বলে জানান অভিষেক। তবে সুর চড়ান মানুষের অধিকার💙ের স্বার্থে। তাঁর কথায়, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন করতে আসি যখন, তখন জল কল নিয়ে সমস্যা তো ছিল। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল চড়িয়াল। অশোক দা বলেছিলেন, কেউ করতে পারেননি। তুমি করতে পারলে 🌳দেখব। আমি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলাম। শুধু ইট পেতে ঘটা করে শিলান্যাস করা নয়, আমরা কাজ করে দেখাই। আমরা কেন বলি ডায়মন্ড হারবার মডেল। আমি সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর আমি বলেছিলাম, আমি আমার এক্তিয়ার অনুযায়ী, রাস্তা জল কলের সমস্যার সমাধান করব। আমার কাছে যে খবর এসেছে, আমি ব্যবস্থা করেছি। চড়িয়াল খালের পুনর্বাসনের সমস্যা হচ্ছিল। আজ চড়িয়াল সেতু উদ্বোধন করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: আধার কার্ড নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যম𓂃ন্ত্রী
এছাড়া একশো দিনের কাজের টাকা–সহ নানা বিষয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘১০০ দিনের কাজের টাকা বাকি আছে। উপার্জিত টাকা আটকে রেখেছে। আগামী ১ তারিখের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা দেবেন। বাজার দর, জ্বালানির দাম বেড়ে যাচ্ছে। আধার আর প্যানের লিংক করার নামে হাজার টাকা নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১০০০ টাকা দিচ্ছে। একদিকে দিদি দিচ্ছে, আর অপরদিকে মোদী নিচ্ছে। এদের জমিদারি বন্ধ করব। সারা দিনে ১০টা ইডি রেইড করুক। আমাদের কিছু যায় আসে না। আগে বকেয়া টাকা ফেরত দিন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীদের উপর আপনাদের রাগ থাকতেই পারে, কোনও অসুবিধা নেই। মানুষের টাকা যদি আটকে রাখেন, আপনারা যে ভাষাতে বোঝেন মানুষ আপনাদের সেই ভাষাতেই জবাব দেবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এত উন্নয়ন করবেন, যাতে একদিন দিল্লির নেতারা ঘটি–বাটি হাতে বাংলার কাছে ভিক্ষা চাইতে♍ আসবেন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি আসছি রাস্তা উদ্বোধন করতে।’