যাঁরা তাঁকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন তিনি তাঁদের ভাষাতেই শপথ নিতে চান তিনি। এখানকার একটা বড় অংশের মানুষ কথা বলেন রাজবংশী ভাষায়। তাই রাজবংশী ভাষায় শপথ নেওয়ার ইচ্ছা তাঁর। এই রাজবংশী সম্প্রদায় ঘুরে যেতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হারানো সম্ভব হয়েছে তাঁর পক্ষে। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্𝓰রেসের সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। লোকসভা নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর এবার রাজবংশী ভাষায় শপথ নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। ধুতি–পাঞ্জাবি পরে আগামী ২৪ জুন লোকসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নেবেন জগদীশ বর্মা বসুনিয়া।
তবে রাজবংশী ভাষায় কি জগদীশ শপথ নিতে পারবেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ সাংসদের এই ইচ্ছায় স্পিকার অনুমতি নাও দিতে পারেন। তাহলে বাংলা ভাষায় শপথ নেবেন জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। আগামী ২৩ জুন নয়াদিল্লিতে পৌঁছে যাবেন জগদীশ। নতুন সাংসদকে বিমানবন্দর থেকে স্বাগত জানানোর জন্য সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের জগদীশ ঘনিষ্ঠ পঙ্কজ মহন্ত, অনিমেষ বসুনিয়া, নুর আলম হোসেন–সহ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা নয়াদিল্লিতে থাকবেন। জগদীশ বর্মা বসুনিয়া এবার সর💮াসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে দেন। আর তারপরই উত্তরবঙ্গে ফুটল ঘাসফুল।
আরও পড়ুন: ‘সাধারণ মানুষের ট্রেনগুলি ক্রমশ মৃত্যুপুরী হয়ে উঠছে’, দুর্ঘটনা🦋 নিয়ে তোপ দাগলেন দেবাংশু
এই আসন থেকে জেতা অত্যন্ত কঠিন কাজ ছিল। কারণ সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই করে আসন বের করা মোটেই সোজা কাজ নয়। তার উপর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহারের রাজ পরিবারের ঐতিহ্য মেনে রাজবংশী ভাবাবেগকে সামনে রেখে রাজ বেশে শপথ নিয়েছিল। তখন থেকেই কোচবিহার তাঁর গড়ে পরিণত হয়। কিন্তু জগদীশ বর্মা বসুনিয়া যেন🐟 বুঝিয়ে দিলেন রাজনীতিতে কারও গড় হয় না। যে কাজ করে সেই জেতে। আগের ঘটনার প্রেক্ষিতে কোচবিহারের নতুন সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া রাজবংশী ভাষায় শপথ নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে রাজবং෴শীদের সমর্থন সম্পূর্ণ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে। তাই সাংসদ হওয়ার পরে রাজবংশী ভাষাতেই শপথ নিতে চান তিনি।