পানিহাটি পুরসভায় এবার হল পুরবোর্ডের বৈঠক। সেটাও হয়েছে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে। শনিবার তা হয়েছে। কিন্তু বিতর্ক থেকেই গেল। কারণ এখানে পুরপ্রধান বদলের ই⛄স্যুই বড় হয়ে উঠল বৈঠকে। ওই বৈঠকে স্থানীয় বিধায়ক এবং সাংসদের থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। পুরপ্রধানের বৈঠকে সাংসদ কেমন করে সভাপতিত্ব করলেন? উঠছে প্রশ্ন। পুরপ্রধানের অভিযোগ, তাঁকে কিছুই বলতেই দেওয়া হয়নি বৈঠকে। তবে পুর পারিষদ সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ভেস্তে যায় তিন পুর পারিষদ সদস্যের অনুপস্থিতিতে।
পানিহাটির নাগরিক পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ উঠছিল। আর তা নিয়ে কোনও বৈঠকও হচ্ছিল না। এই আবহে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পানিহাটি পুরসভায় এসে সমস্ত কাউন্সিলর–সহ পুরসভার প্রশাসনের অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে যান। এমনকী দ্রুত বোর্ড মিটিং করা না হলে🦋 পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়𝄹ার হুঁশিয়ারিও দেন পুরমন্ত্রী। শনিবার ফিরহাদের নির্দেশেই বোর্ড মিটিং ডাকা হয়। পুরপ্রধান মলয় রায় বোর্ড মিটিং ডাকেন। তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৩০ জন কাউন্সিলার উপস্থিত হন। সেখানে আসেন স্থানীয় সাংসদ সৌগত রায় এবং বিধায়ক নির্মল ঘোষ।
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের পর প্রথম রাজ্য মন্ত্রꦦিসভার বৈঠক হবে, বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন
আর এখানেই বাধে গোল। কারণ সাংসদ সৌগত রায়ের সভাপতিত্বে মিটিং শুরু হয়। যা নিয়ে কয়েকজন কাউন্সিলার পুরপ্রধান মলয় রায়ের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। তখন তাঁদের থামিয়ে দেন সৌগত রায়। আর সৌগত রায় কাউন্সিলারদের উদ্দেশে বলেন, ‘পুরপ্রধান বদল করতে হলে তার নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। প্রথমে দরকার দলের অনুমোদন। তার পর মহকুমাশাসকের তত্ত্বাবধানে তা করতে হয়।’ তখন কাউন্সিলাররা চুপ কর꧂ে যান। কিন্তু এই বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর সাংসদ কেন এই বোর্ড মিটিংয়ে তা নিয়ে সরব হন অনেকে। সুতরাং বিতর্ক জিইয়ে রইল।
যদিও এই বৈঠকে কিছুক্ষণ নাগরিক পরিষেবা নিয়ে আলোচনা হয়। কেএমডিএ, সুডার অধিকর্তা এবং পুর পারিষদ সদস্যরা রাস্তা, নিকাশি, জঞ্জাল, পানীয় জল, বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে রিপোর্ট এবং কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন। এই দেড় ঘণ্টার বৈঠকে পুরপ্রধান মলয় রায় কার্যত নীরব দর্শক ছিলেন। পরে পুরপ্রধান বলেন, ‘বোর্ড মিটিংয়ের নাগরিক পরিষেবার অ্যাজেন্ডা দূরে রেখে পুরপ্রধান পরিবর্তনের দাবিই বেশি গুরুত্ব পেল। আমাকে বক্তব্যই রাখতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি পুরমন্ত্রীকে জানাব।’ ইতিমধ্যে🍸ই পুরসভার এক্সিকিউডিভ অফিসার অসীম কুমার বিশ্বাস পদত্যাগ করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন।