ছট উৎসবে এখন মেতে উঠেছে শিল্পাঞ্চল। আসানসোল থেকে দুর্গাপুর আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে ছট ঘাটগুলি। আর তখনই ছট উৎসবে অংশ নিতে শিল্পাঞ্চলে হাজির হলেন বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহাও। তাঁর নামে ‘নিখোঁজ’ পোস্টার পড়েছিল। তাঁকে দেখা যায় না এলাকায় বলে অভিযোগ তুলে পড়েছিল পোস্টার। আসানসোলের তৃণমূল কংগ্র🙈েস সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিয়ে এই নিখোঁজ পোস্টার ঘিরে যখন রাজ্য–রা🐼জনীতি সরগরম ঠিক তখনই অন্ডাল বিমানবন্দরে দেখা মিলল ‘বিহারীবাবু’ শত্রুঘ্ন সিনহাকে। ‘নিখোঁজ’ পোস্টার পড়ার একদিন পরেই এলাকায় ফিরলেন তারকা সাংসদ।
ঠিক কী দেখা গিয়েছিল? সম্প্রতি কুলটি এলাকায় শত্রুঘ্ন সিনহার ছবি–সহ ‘লাপতা’ পোস্টার পড়েছিল। এমনকী ছট ঘাট এলাকাতে এই ধরনের পোস্টারগুলি দেখা গিয়েছিল। পোস্টারে লেখা ছিল, সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা ‘বিহারীবাবু’ নামে পরিচিত, কিন্তু বিহারীদের সব থেকে বড় ছট পুজোয় নিজের লোকসভা কেন্দ্🦩রে সাংসদ নিখোঁজ। এই পোস্টার বিতর্কের পর সাংসদ অবশ্য শনিব🍃ার জানিয়ে দেন, তিনি ছটের জন্যই এসেছেন সেখানে। শনিবার বিকেলে তিনি অণ্ডাল বিমানবন্দরে নামেন। সেখান থেকে যান জামুড়িয়ায়। রবিবার দিনভর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
ঠিক কী বলেছেন বিহারীবাবু? নিখোঁজ পোস্টার নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি সংবাদম🌟াধ্যমে বলেন, ‘আমার সমর্থকরা জবাব দিয়েছে। ছোট ছোট ঘটনার প্রতিক্রিয়া আমি দিই না। আমি ছটের জন্যই এসেছি এখানে। এলাকার মানুষ জানেন ঈদ থেকে দুর্গাপুজো সব অনুষ্ঠানেই আমি এখানে থেকেছি। যাঁরা আমাকে চেনেন তাঁরা জানতেꦬন ছটেও আমি আসব। আমার এলাকার মান🍰ুষের সঙ্গে মিশে যেতে চলেও এসেছি। এই নিয়ে কে কী বলল, কারা টাকার জোরে পোস্টার দিল, তা নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে চাই না। আপনারা জানেন তো আমি কতবার আসি এখানে। প্রত্যেক মাসে। গত মাসে তো ১৫–১৬ দিন আমি এখানেই ছিলাম।’
বিজেপি ঠিক কী বলছে? এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেকবারই নিখোঁজ পোস্টার দিতে হবে। তারপর তিনি আসবেন। আমরা তো আগেই বলেছিলাম আসানসোলের জনগণকে। মানুষ তখন ঠিকমতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। স🌺ন্ত্রাস ছিল, ভোট পরবর্তী হিংসা ছিল। ২০২৪ সালে যখন লোকসভা নির্বাচন আসবে, তখন আমরা বিহারীবাবুকে আবার রিটেয়ারমেন্ট দিয়ে দেব।’ ছট উৎসব ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় ডালি ও শাড়ি বিলি করা হয়। আসানসোলের কাল্লায় ছট ঘাটের শিবির করা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির মধ্যে সাময়িক উত্তেজনা হয়। কিছু পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বিহারীবাবুকে ঘিরে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।