তিনি হুমকি দিয়েছিলেন এবার থেকে কর্মসূচি করবেন বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে। উপাচার্যকে পাগল বলেছিলেন। তিনি হলেন, বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই হুমকি তিনি দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার দলবল নিয়ে সেখানে এসে অনুষ্ঠান করেছিলেন বলে। এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কর্মসূচি পালন করল তৃণমূল কংগ্রেস। অনুব্রতর হুমকি বাস্তবায়িত হলো।কী ঘটেছে সেখানে? আজ রাখীবন্ধন উপলক্ষ্যে রতনপল্লি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের শোভাযাত্রা উপাসনা গৃহ হয়ে পৌঁছয় শ্যামবাটিতে। সেই শোভাযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহার ছবি সম্বলিত ব্যানার দেখা যায়। এই শোভাযাত্রা ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।রবিবার এই শোভাযাত্রা করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে যোগ দেন পড়ুয়ারা, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–নেত্রী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাক্তনী বলেন, ‘এখানে রাজনীতি ছিল না। এখন সকলে আসছে। আগে বিজেপি ঘুরে গিয়েছে। এখন তৃণমূল কংগ্রেস আসছে। এটাই নিয়ম হয়ে গিয়েছে।’ এছাড়া আরও অনেকে সমালোচনা করেন। তবে উপাচার্যের জন্যই আজ এই হাল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বলে সবাই বলছেন।রাখীবন্ধনের শোভাযাত্রার আয়োজক তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা চন্দন মণ্ডল বলেন, ‘আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল এবং চন্দ্রনাথ সিনহার মুখকে সামনে রেখে কোভিড বিধি মেনে মানবতার বার্তা দিয়েছি। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতির আখড়া বানিয়ে ফেলেছেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাজনৈতিক পতাকা নিয়ে কোনও আন্দোলন করিনি।’আজ এই শোভাযাত্রা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখীবন্ধন উৎসবের সৃষ্টি করেছিলেন। আমাদের কর্মীরা তাঁকে সন্মান জানাচ্ছে। তাঁর পথ অনুসরণ করছে। বিজেপির মতো অযথা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করছে না। কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের মতো ‘রবীন্দ্রনাথকে কালো’ বলছে না। বিজেপির মতো আমরা উড়ে এসে জুড়ে বসিনি।’