পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বড় ভাঙন দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসে। আর এই ভাঙন ধরিয়েছে সিপিএম। যারা কিনা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে হেরেই ক্ষমতা থেকে চলে গিয়েছে। গত ১০ বছরে ক্রমশ ক্ষীণ হয়েছে বামেদের শক্তি। সেখানে কুলতলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি–সহ আড়াই হাজার পরিবার যোগ দিলেন সিপিএমে। যা কিনা রাজ্য–রাজনীতিতে বড় চমক। কার💦ণ এখন দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে দক্ষিণ কলকাতা—স𒅌বটাই তৃণমূল কংগ্রেসের গড়। সেখানে এমন ভাঙন কপালে ভাঁজ ফেলেছে ঘাসফুল শিবিরের।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? কুলতলি বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসে বড় ভাঙন ধরেছে। প্রায় আড়াই হাজার পরিবার এবং ৫০ জন সক্রিয় নেতা–কর্মী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিয়েছেন। আর এই গোটা প্রক্রিয়াটি ঘটেছে সিপিএমের প্রবীন নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান শতꦗ্রু সিপিএম। সেখানে দক্ষিণপন্থী দল থেকে বামপন্থী দলে যাওয়া নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সিপিএম কেমন করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মীদের নিল সেটাও ভাবাচ্ছে সকলকে। কারণ দুই দলের মতাদর্শগত পার্থক্য রয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখানের চুপড়িঝাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কমিটির সভাপতি রবিউল হক মোল্লা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে সিপিএমে যোগ দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের হাতে লাল পতাকা তুলে দেন প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। এটা আসলে মধুর প্রতিশোধ বলছেন দলের কমরেডরা। কারণ প্রবল তৃণমূল কংগ্রেস হাওয়ায় হেরে গিয়েছিলেন কান্তিবাবু। যিনি এলাকায় আইলা’র মত❀ো বিপর্যয়ে মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। তাঁকে 💖হেরে যেতে হয়েছে। এটা যেন পরোক্ষে প্রতিশোধ।