আজ, সোমবার রেলের ওভারহেড তারে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে যাওয়ার জেরে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ–পূর্ব রেলের হাওড়া–আমতা শাখায় বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। আজ বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বড়গাছিয়া স্টেশনে কাছে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আপের একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে এই ঘটনায়। তাতে চরম সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। কারণ তখন বেশিরভাগ মানুষজন অফিস থেকে বা๊ড়ি ফেরেন। ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন যাত্রীরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, অনেকে ট🌠্রেন থেকে নেমে সড়কপথে রওনা দেন।
এই ঘটনায় নিত্যযাত্রীদের গরমে নাকাল হতে হয়। তাতে অনেকে আবার ট্রেনেই বসে থাকেন। এই বিষয়ে দক্ষিণ–পূর্ব রেলের ไমুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ জানিয়েছেন, এই ঘটনার জেরে ওই শাখায় ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে। রেলের টাওয়ার ভ্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করেছেন। আর ট্রেন চলাচল সꦅ্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। বাড়ি ফেরার পথে এমন দুর্ভোগে পড়তে হবে তা যাত্রীরা ভাবেননি। এই ঘটনার কথা পরের স্টেশনগুলিতে ঘোষণা হতে থাকে।
আরও পড়ুন: ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ফোন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর, আবদার মেটালেন মেয়র, উপকৃ♎ত স্কুল
কখন ঠিক হবে? এই প্রশ্ন করতে থাকেন অনেক নিত্যযাত্রী। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১ তারিখে এই শাখায় একই ট্রেনে প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে পড়েছিল। তার জেরে অফিসযাত্রীদের নাকাল হতে হয়েছিল। তারপরও কোনও সুরাহা হয়নি বলে যাত্রীদের অভিযোগ। আবার এই মাসেই শেষের দিকে তার ছিঁড়ে গেল। গাছের ডাল পড়ে এই ঘটনা ঘটেছে। তাতে এখন যাত্রীরা বোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ট্রেনে এক যাত্রী পেশায় শিক্ষক বলেন, ‘পৌনে একঘণ্টা ট্রেনেই আটকে ছিলাম। এমনিতেꩵই ট্রেনের যাতায়াতের কোনও ঠিক নেই। প্রচণ্ড অনিয়মিত। তার মধ্যে আবার বিপত্তি।’
ট্রেন এমন হঠাৎ দাঁড়িয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এই ট্রেনের যাত্রী নিতাই দাসের বক্তব্য, ‘প্রতিনিয়ত ট্রেনে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। কোনও রক্ষণাবেক্ষণ নেই। আমাদের আমতা লাইনে নিত্য সমস্যা। এই তার ছিঁড়ছে, এই প্যান্টোগ্রাফ ভাঙছে। এক ঘণ্টার রাস্তা ট্রেন তিন ঘণ্টা লাগিয়ে দেয়। আমি বাসে চলাফেরা করতে পারি না। তাই ট্রেনেই যাই।’ আর এক যাত্রী শামিম শেখের কথায়, ‘ট্রেনের চালক কোনও তথ্যই দিচꦍ্ছেন না। একঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে ট্রেন। নিয়ম মেনে ট্রেন চলে না। টাইমের কোনও ঠিক নেই।’