সাতসকালে প্রাতঃক্রিয়া সারতে পুকুরপাড়ে এসেছিলেন গ্রামের এক আদিবাসী দম্পতি। অভিযোগ, পুকুরের জলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া ছিল। আর তা না জানতে পেরেই পুকুরের জলে নেমে পড়েন ওই দম্পতি। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মꦕুঙ্গলি মান্ডি এবং বাপি মান্ডির। এই ঘটনার পর চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর ব্লকের মোরখা গ্রামে এখন এটা নিয়েই বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। মৃতদেহ দু’টি উদ্ধারের জন্য পুলিশ এলে শুরু হয় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ। তাঁদের দাবি, পুকুরের চারপাশে বিদ্যুতের তার ছড়িয়ে রেখেছিলেন মালিক। তার জেরেই এই বিপত্তি ঘটেছে। তাঁরা পুকুরꦬের মালিককে গ্রেফতারের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখান।
ঠিক কী ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ, বুধবার সকালে মোরখা এলাকায় পুকুরের পাড় থেকে উদ্ধার হয় এক দম্পতির দেহ। তাঁদের নাম বাপি মান্ডি এবং মুঙ্গলি মান্ডি। মাছ চুরি ঠেকাতে ওই পুকুরের মালিক বিদ্যুতের তার ফেলে রেখেছিল। সেটা না বুঝতে পেরেই পুকুরে নেমཧে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই দম্পতির। মোরখা গ্রামে পথ অবরোধও করেন বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনায় তোলপাড় হযে যায় গোটা গ্রাম।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনার পর আ๊দিবাসীরা ক্ষেপে উঠলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। এই ঘটনার পর থেকেই এলাকাছ🌺াড়া ওই পুকুরের মালিক। ফাঁকা মাঠের মাঝে পুকুরে কেন বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া ছিল? তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। অবিলম্বে দোষী ব্যক্তির শাস্তি দিতে হবে দাবি গ্রামবাসীদের। বাদনা পরবের দিন𓆉েই কার্যত শোকে মুহ্যমান গোটা গ্রাম।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, দুটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এলাকার পুকুরপাড় থেকে। এই দম্পতির নাম বাপি মান্ডি এবং মুঙ্গলি মান্ডি। ওঁরা ভোরবে🌃লা পুকুরে নেমেছিলেন। তারপর দেখা যাচ্ছে বিদ্যু༺ৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। পুকুরের পাড়ে বিদ্যুতের তার পাওয়া গিয়েছে। পুকুরের মালিকের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এখন বিদ্যুতের তার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।