কয়লাপাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে শুক্রবার নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। তবে শওকত সিবিআই দফতরে জাননি। এদিকে শওকতকে সিবিআই তলবের কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর বক্তব্য, ‘সিবিআই কেন ডেকেছে, এই প্রশ্ন আমাকে না করে শুভেন্দুকে করুন। শুভেন্দুকে এই প্রশ্ন করলে স্পষ্ট জবাব পাবেন। সিবিআই কখন, কাকে ডাকবে বা কী করবে, তা আগে শুভেন্দু অধিকারী বলে দেন। কখনও জনসমক্ষে মাইকেই সেটা বলেন আবার কখনও গৌপন বৈঠকে সেই নির্দেশ দেন।’এদিকে শওকত মোল্লা শুভেন্দুর দিকে আঙুল তুললেও জানান তদন্তকারীদের সবরকম ভাবে সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত। তবে তাঁর অভিযোগ, ‘এই তলব পুরোপুরি রাজনৈতিক চক্রান্ত। আমার এলাকায় কোনও কয়লা তৈরি হয় না, ঘুঁটেও তৈরি হয় না। তদন্তকারী সংস্থা আমাকে ডাকতে পারে। তারা তাদের কর্তব্য পালন করছে। তবে আমরা রাজনৈতিক ভাবেই কাজ করি।’উল্লেখ্য, সিবিআই-এর দাবি, আসানসোল থেকে কয়লা পাচার হয়ে যেত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ইঁটভাটায়। সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই শওকতকে তলব। এদিকে প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার গাড়িতে হামলার ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল। সেই শওকত মোল্লাকে এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে ডেকে পাঠাল সিবিআই।সিবিআই সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন বেআইনি কয়লাখনি থেকে যে কয়লা তোলা হত তা বিক্রি হত বিভিন্ন ইঁটভাটায়। অপেক্ষাকৃত কম দামে সেই কয়লা পৌঁছে যেত ইঁটভাটাগুলিতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় যে ইঁটভাটা রয়েছে সেখানে বেআইনি এই কয়লার গাড়িগুলি থেকে তোলা আদায় করতেন শওকত মোল্লা। মোটা টাকা তোলা আদায় করা হত কয়লার গাড়িগুলি থেকে। এই টাকার বিনিময়ে কয়লার গাড়িগুলিকে পুলিশি ঝামেলা এড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে সাহায্য করতেন তিনি। কয়লার গাড়ি থেকে আদায় করা সেই টাকা কোথায় কার কাছে যেত তা জানতে শওকতকে তলব করেছেন গোয়েন্দারা।