লোকসভা নির্বাচনের মিটতেই ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকে আরাবুল ইসলামকে সরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দীর্ঘ চার মাস ধরে জেলে বন্দি ছিলেন তৃণমূলের এই নেতা। মঙ্গলবার ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর, বৃহস্পতিবার আচমকা ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে জরুরি ♚বৈঠক ডাকেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। সেই বৈঠকে শওকত মোল্লা দলীয় সিদ্ধান্তের কথা স্থানীয় নেতৃত্বকে জানান।
শওকত মোল্লা জান💦ান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীর্ঘ দিন অনুপস্থিত থাকায় কাজকর্মে অসুবিধা হচ্ছে। তাই আরাবুলের বদলে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সোনালি বাছাড়কে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ꦇা হচ্ছে। সহ-সভাপতির দায়িত্বও তিনি সামলাবেন। সূত্রের খবর, জেল থেকে মুক্তি পেলেও আরাবুলকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে পুনর্বহাল করা হবে কি না, সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন। বাংলাদেশ🐎ি সাংসদ আনোয়ারউল খুনের তদন্তে মাংসের পর এবার খাল থেকে উদ্ধার হল হাড়
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়ে ভাঙড়-২ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন আরাবুল। কিন্তু চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি তোলাবাজির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ, এবং সেই থেকে তিনি জেলে আছেন। তাঁর অনুপস্🤪থিতিতে এবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়েছে। বর্তমানে দলগতভাবে আরাবুলের আর কোনও পদে নেই। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁকে ভাঙড় বিধানসভার ‘আহ্বায়ক’ পদ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এপ্রিল মাসে তাঁকে সেই পদ থেকেও সরানো হয়। বর্তমানে আরাবুল শুধুমাত্র তৃণমূলের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে রয়েছেন।
কেন এই পদক্ষেপ?
কেন এই সিদ্ধান্ত তার ব্যাখ্যা দিয়ে এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরাবুলের স্ত্রী। আরাবুলের স্ত্রী জাহানার বিবি অভিযোগ করেন, তাঁরা জানেন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলা রয়েছে। পুলিশের কাছে তাঁরা জানাতে চান 𒈔আর কোনও মামলা রয়েছে কিনা। কিন্তু পুলিশ তথ্য দেয় নি। আরাবুলের স্ত্রী এই অভিযোগে অস্বস্তিতে পড়ে পুলিশ। তার পরই ভাঙড়ের আহ্বায়ক পদ থেকে আরাবুলকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবার তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন। কলকাতার গঙ্গায় কুমিরের🔯 আনাগোনা, আতঙ্কে ঘাটে নামছেন না মানুষজಌন, তদন্তে বন দফতর