‘প্রেমের কথা কে বুঝিতে পারে’—এই জনপ্রিয় বাংলা গানের লাইন আজও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল। কারণ সত্যিই কেউ বুঝতে পারল না। তাই তো মহালয়া থেকে বিজয়া দশমীর মধ্যে এগরা থানা এলাকায় ২০ জন নাবালিকা চম্পট দিয়েছে। তাও নিজেদের প🌠ছন্দ করা প্রেমিক🦩ের হাত ধরে্। এবার প্রেমিকদের খপ্পড় থেকে নাবালিকা উদ্ধারের জন্য তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পলাতকরা বেশিরভাগই দুর্গাপুজো দেখতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে সেজেগুজে বেরিয়েছিল। আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের সদস্যরা কিশোরীদের ফেরানোর জন্য থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।
ঠিক কী ঘটেছে এগরায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৩ অ🍒ক্টোবর মহাষ্টমীর দিন এগরা থানার শুশুনিয়া গ্রামের ১৩ বছরের এক নাবালিকা ঠাকুর দেখতে বাড়ি থেকে বের হয়। সকাল ১০টায় বাড়ি থেকে বের হলেও রাত পর্যন্ত বাড়ি ফিরে আসেনি। থানায় এফআইআর করেন নাবালিকার বাবা। আবার ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ এগরার বাথুয়াড়ি বাজারে পুজো দেখতে বেরিয়েছিল সাহাপুর গ্রামের ১৭ বছরের কিশোরী। আর কিশোরীর দেখা নেই। থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন কিশোরীর বাবা। তিনি পিরিজখানবাড় গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৯ সেপ্টেম্বর এগরা থানার ছোট রসুলপুর গ্রামের ১৭ꦯ বছরের কিশোরী বাথুয়াড়ি হাইস্কুলে যাবে বলে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। তার বাবা এগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মির্জাপু൲র গ্রামের এক কিশোরী গত জানুয়ারি এবং মার্চ মাসে পরপর দু’বার পটাশপুর গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে পালিয়েছিল। যদিও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। মহালয়ার দিন ফের ওই নাবালিকা গ্রামের সেই যুবকের সঙ্গে ঘর ছেড়েছে। সম্প্🎃রতি এগরা থানা এলাকায় একসপ্তাহের মধ্যে তিন নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় এগরা–২ বিএমওএইচ থানায় এফআইআর হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছ꧒ে? স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় তিন যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুধু এগরা নয়, তমলুক, পাঁশকুড়া থানা এলাকাতেও প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছাড়ার বিস্তর অভিযোগ থানায় জমা হয়েছে। ভগবানপুর থানার কাজলাগড় গ্রাম পঞ্চা🌳য়েতের আবাসবেড়িয়া গ্রামের এক নাবালিকা বাড়ি ছাড়ার ঘটনায় জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। একের পর এক কিশোরী প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছে জেলা পুলিশের। এখনও পর্যন্ত ২০ জন কিশোরী প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছেড়েছে।