মানিকতলার মুরারিপুকুর এলাকার এক ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। খাস কলকাতায় ব্যবসায়ীর রহস༒্যমৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ব্যবসায়ীর দেহ মিলেছে বাড়ির কাছেই একটি বরফকল থেকে। এখানে কেমন করে দেহ এল? তা নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মৃত ব্যবসায়ীর নাম অমিত রাম (৪০)। এবার পুলিশ এই রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে। এটা যে খুন 𓂃তা বুঝতে পারছেন পুলিশ অফিসাররা। তবে ময়নাতদন্তের আগে কিছু বলতে চাইছেন না।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, বরফকলের কাছ থ🔴েকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে। সেখান থেকে ব্যবসায়ীর বাড়ির দূরত্ব অত্যন্ত কম। সেখানেই রয়েছে একটি রবার ফ্যাক্টরি। তদন্তে নেমে স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁরা রাতে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ শব্দ শুনতে পꦜেয়েছিলেন। তখন রাত ২টো হবে। তাই তাঁরা ১০০ ডায়াল করে পুলিশকে খবরটি জানিয়েছিলেন। তারপরই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে পাঠিয়েছে। তবে এই চিৎকারের অর্থ ব্যবসায়ী খুন হওয়ার আগে আর্ত চিৎকার।
আর কী জানা যাচ্ছে? মুরারিপুকুরে ব্যবসায়ীর রহস্যমꦓৃত্যু আসলে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর স্ত্রীর। মৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রী এবং ছোট দুই সন্তান রয়েছে। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। হাতের শিরার ওꦇপরেও আঘাত করা হয়েছিল। মানিকতলা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে পরিবার। তাঁর পোশাকের পাশাপাশি ইমারতি সা🎶মগ্রীর ব্যবসা ছিল।
এটা খুন নাকি আত্মহত্যা? অমিতবাবুর এক প্রতিবেশী পুলিশকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে জানলা দিয়ে হাত বাড়িয়ে তাঁকে এক ব্যক্তি ডেকেছিল। তারপ🔥র ওই ব্যক্তি জানালায় উঠে পড়েছিল। এই ঘটনা দেখে প্রতিবেশী ব্যক্তি ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং পুলিশে খবর দেন। তারপরই ভোরে উদ্ধার হয় অমিত রামের দেহ। ঘটনাস্থলে রয়েছে মানিকতলা থানার পুলিশ।