জন্মের সময়ের ব্যবধান ছিল ২৫ মিনিট। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় প্♓রাপ্ত নম্বরেও খুব বেশি ব্যবধান হল না যমজ ভাইয়ের। ৬৮৯ নম্বর পেয়ে রাজ্যে মাধ্যমিকে যৌথ চতুর্থ হল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র অনীশ বারুই। আর তার থেকে ২ নম্বর কম পেয়ে মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থান অধ🐓িকার করল তার ভাই অনীক বারুই। দুজনে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র। অনীকের প্রাপ্ত নম্বর হল ৬৮৭। যমজ ভাই মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করায় তাদের বাবা–মা, শিক্ষক–শিক্ষিকা সকলেই গর্বিত।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় মাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখুন এক ক্লিকেই - ক্লিক করুন এখানে
দুই ভাই দেখতে হুবহু একই। শুধু তফাতটা হল একজনের থুঁতনিতে তিল রয়েছে। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি বিষয়ে একই নম্বর পেয়েছে বাঁকুড়ার ওন্দার যমজ ভাই। দুজনেই বাংলায় পেয়েছে ৯৭ নম্বর। এছাড়া ভৌত বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান এবং অঙ্কে দুই ভাইয়ের প্রাপ্ত নম্বর হল ১০০ করে। তাদের পছন্দ অপছন্দও অনেকটা একই। দুজনেই ফুটবল ভালোবাসে। শুধু তাই নয়, দুজনেরই পছন্দ ডিফেন্ডার পজিশনে খেলা। এমনকী ভবিষ্যতে দুজনেই চাই 💮ডাক্তার হতে। বাঁকুড়ার বাসিন্দা হলেও ছোট থেকেই তাদের পড়াশোনা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে।
Madhyamik Result 2023 Live Updates: মাধ্যমিকের ফলাফলের লাইভ আপডেট দেখুন এখানে
উল্লেখ্য, এর আগেও এরকম অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে যমজ ভাই মাধ্যমিকে প্রথম দশের মধ্যে স্থান পেয়েছে। ২০১৯ সালে ৬৮৭ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারের বারোবিশা হাই স্কুলের অরিত্র সাহা। ৬৮০ নম্বর পেয়েছিল তার ভাই অরিন সাহা। এছাড়া, ২০১৭ সালে মাধ্যমিকে একই নম্বর পেয়েছিল বীরভূমের মহম্মদবাজার🔯ের বাসিন্দা দুই ভাই কার্তিক চক্রবর্তী এবং শক্তি চক্রবর্তী। দুজনেই ৬৪৭ নম্বর পেয়েছিল। উচ্চমাধ্যমিকে ৩২৯ নম্বর পেয়েছিল রানাঘাটের যমজ ভাই সৌম্যদীপ ও শুভদীপ মণ্ডল। ১৯৬০ সালে সকুল ফাইনাল পরীক্ষায় একই নম্বর পেয়েছিলেন যমজ দুই ভাই তথা রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম ও ইতিহাসের অধ্যাপক অতীশ দাশগুপ্ত ৷ আর এবার ভাল ফল করে চমকে দিল বাঁকুড়ার ওন্দার যমজ ভাই। প্রসঙ্গত, এবছর মাধ্যমিকে পাশের হারে প্রথম হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কালিম্পং এবং কলকাতা রয়েছে তৃতীয় স্থꦬানে। পূর্ব মেদিনীপুরে এবছর পাশের হার ৯৬.১১ শতাংশ।